নন্দীগ্রাম শুনানি মুলতুবি ২৪ জুন পর্যন্ত
আগামী বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ২৪ জুন পর্যন্ত মুলতুবি হল নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে দায়ের করা মামলার শুনানি। বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ, শুক্রবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের (Kausik Chanda) এজলাসে ওই শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই শুনানি আপাতত ২৪ জুন পর্যন্ত মুলতুবি হল।
১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮০, ৮০এ, ৮১, ১০০ এবং ১২৩ ধারায় মামলা করা হয়েছে ৷ আদালতের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘুষ দিয়েছেন। প্রভাব খাটিয়েছেন। জনগণের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন। ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছেন। সরকারি আধিকারিকদের সাহায্য নিয়েছেন এবং বুথ দখল করেছেন।
রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়েও মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, ২ মে গণনার সময় একাধিক গরমিল ও কারচুপি হয়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের সহকর্মীরা পুনর্গণনার দাবি জানান। কিন্তু, কোনও কারণ ছাড়াই সেই আরজি খারিজ করে দেন রিটার্নিং অফিসার। ২১ সি ফর্মে সই করে শুভেন্দু অধিকারীকে জয়ী ঘোষণা করে দেন।
এছাড়াও আবেদনপত্রে অভিযোগ, কত ভোট মিলেছে এবং গণনা সংক্রান্ত যে ১৭ সি ফর্ম তাতেও বিস্তর কারচুপি ও গরমিল হয়েছে। সংবিধান এবং আইন সম্পূর্ণ লঙ্ঘন করে ভোট হয়েছে নন্দীগ্রামে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১০০ ধারা অনুযায়ী, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ভোটকে বাতিল ঘোষণা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ভোটের ফল নিয়ে অভিযোগ থাকলে ৪৫ দিনের মধ্যে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করতে হয় ৷ রাজ্যে ভোটের ফল প্রকাশ হয় ২ মে ৷ সেই মতো ৪৫ দিনের মধ্যেই হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করা হয়েছে ৷