ইস্তফা দিয়ে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হোন ধনখড়, কটাক্ষ কাকলীর
বঙ্গ রাজনীতিতে এখন টানটান উত্তেজনা। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার যে ট্রেন্ড ভোটের আগে শুরু হয়েছিল সেটাই এখন পাল্টে গিয়েছে। তার উপর চলছে রাজ্য রাজ্যপালের বাকযুদ্ধ ও চিঠির লড়াই। সব মিলিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে পারদ চড়ছে হু হু করে। হাবড়া কলতান প্রেক্ষাগৃহে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচালনায় একটি রক্তদান শিবির অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকেই রাজ্যপালের পদত্যাগ এবং নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে রাজনীতিক ভাবে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা নেত্রী কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
রাজ্যপাল এখন রয়েছেন দিল্লিতে। সেখানে বাংলার পরিস্তি নিয়ে বৈঠক করেছেন মোদী শাহের সঙ্গে। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালের ভূমিকা ও তাঁর কার্যকলাপ নিয়ে নানা প্রশ্নের মধ্যেই পদত্যাগের দাবি উঠেছে। এর মধ্যেই হাবড়া কলতান প্রেক্ষাগৃহে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচালনায় একটি রক্তদান শিবির অনুষ্ঠানে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বারাসাত লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, “ওনার উচিৎ রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি হওয়া উচিত। কেননা উনি ভুলে গিয়েছেন ওনার একটি নিরপেক্ষ ভূমিকা আছে।”
এখানেই শেষ নয় তৃণমূল নেত্রী আরও বলেছেন, “কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সংবিধান অনুযায়ী সেতুবন্ধনের কাজ করা কিন্ত উনি সেটা না করে এখানে অশান্তি লাগানোর চেষ্টা করছেন পশ্চিমবাংলায় এবং এই রাজ্যের যে গৌরব সেটা স্খলনের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।” বলা ভালো যে মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ঘর ভাঙার আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রীকে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করে দেখানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে নাম না করে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। বলেছেন, “মুকুল রায়ের দলবদল যদি আইন অনুযায়ী না হয়ে থাকে তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর মনে রাখতে হবে নিজের বাড়িতে দল বদল করা একজন সদস্য রয়েছেন।” সব মিলিয়ে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপিকে আরও কোণ ঠাসা করতে চাইছে শাসক দল।