২০২৪ এর মঞ্চে রাষ্ট্রমঞ্চের বৈঠক, পৌরহিত্য করবেন পাওয়ার
দু’সপ্তাহে দ্বিতীয় বার পিকে–র সঙ্গে আলোচনায় বসলেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। তার পরেই আগামী কাল বিরোধী নেতাদের বৈঠকে ডাকলেন। লক্ষ্য শুধু ২০২৪ সালে মোদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা নয়। আগামী বছর উত্তপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানেও বিজেপি–কে হারিয়ে ছাপ ফেলতে চায় বিকল্প জোট।
দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের কাছে কালকের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ গিয়েছে। আমন্ত্রণে নাম রয়েছে শারদ পাওয়ার এবং প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহার। বাংলার নির্বাচনের আগে সিনহা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। চিঠিতে সিনহার সংগঠন রাষ্ট্র মঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, ‘শারদ পাওয়ারজি, যশবন্ত সিনহাজি এখনকার জাতীয় রাজনীতির পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। আপনাদের উপস্থিতি এবং যোগদান কাম্য।’
রাজদ নেতা মনোজ ঝা, আপ নেতা সঞ্জয় সিং, কংগ্রেসের কপিল সিবালকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিবাল যদিও জানিয়েছেন, তিনি এ রকম আমন্ত্রণ পাননি। তবে মনোজ ঝা এবং সঞ্জয় সিং বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে খবর। ডিএমকে–র তরফে উপস্থিত থাকবেন তিরুচি শিবা। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা নানা পাটোলে জানিয়েছেন, ‘গণতন্ত্রে সকলের সব কিছু করার অধিকার রয়েছে। আমরা কাউকে আটকাব না। তবে কংগ্রেস ছাড়া তৃতীয় ফ্রন্ট হতে পারে না।’ তিনি এও বললেন, যে পাওয়ার এর আগেও তৃতীয় ফ্রন্ট করার চেষ্টা করেছেন।
শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতও জানিয়েছেন, জাতীয় স্তরে বিরোধী জোট হওয়াটা দরকার। এই নিয়ে শারদ পাওয়ারের সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আবার মনে করছেন, এই বিরোধী জোট তৈরির নেপথ্যে নাকি মূল কারিগর মমতা ব্যানার্জিই। তাঁর হয়েই দৌত্যের কাজ করছেন পিকে। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে মমতার ভোট প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০২৬ সাল পর্যন্ত পিকের সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তৃণমূল। অনেকে বলছেন, ২০২৪ সালে মোদিকে হঠাতেই আটঘাট বেঁধে নামছেন মমতা। যদিও তিনি নিজে বলেছেন, ‘আমি মনে করি, সকলে মিলে ২০২৪ সালে লড়াই করতে পারি। তবে আগে কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধটা করি।’