বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ড আয়ত্বে আনতে ১৫টি দমকল ইঞ্জিন, পৌঁছেছেন মন্ত্রী, পুর প্রকাশকও
রবিবারের অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি ফিকে হওয়ার আগেই ফের ভয়াবহ আগুনের শিকার বড়বাজার। সোমবার সন্ধ্যায় বনফিল্ড রোডের একটি বাড়ির একতলায় প্লাস্টিকের দোকানে আগুন লাগে। লাগোয়া রাসায়নিকের দোকান এবং রাখি তৈরির কারখানায় সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টাতেও দমকলের ১০টি ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তাই পরে আরও ৫ ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার কথা শুনেই কলকাতা পুরসভার প্রশাসক তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁদের উপস্থিতিতে দোকানের শাটার কেটে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু হয়। ফিরহাদ বলেন, ‘‘প্রথমে এক তলায় আগুন লাগলেও তা দোতলা হয়ে তিনতলায় ছড়িয়ে পড়ে। ঘিঞ্জি এলাকায় হওয়ায় দমকলের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে।’’ ওই বাড়ির চার তলায় বেশ কিছু গ্যাসে সিলিন্ডার মজুত রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। ফলে বড় বিপদের আশঙ্কাও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় বড়বাজারে সদাসুখ কাটরায় একটি দোকানে আগুন লেগেছিল। প্রথমে বাজারের দোতলায় একটি কাপড়ের দোকানে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা।