আলাপন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে তোপ তৃণমূলের
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Banerjee) বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্র। মোদি সরকারের এই পদক্ষেপকে বেআইনি বলে দাবি করল তৃণমূল। আলাপন ইস্যুতে মঙ্গলবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, “রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সব হচ্ছে বলে দাবি তৃণমূলের।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় অভিযোগ করেন, “রাজ্যের অধীনে কাজ করার সময় কোনও আমলাকে এভাবে ডেকে পাঠানো যায় না। আর তাঁকে কেন্দ্রের ডেপুটেশনে যেতে হলে রাজ্যের অনুমতি নিতে হয়। এমনটাই বলছে আইন।” এর পরই তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, “কেন্দ্র রাজ্যের সঙ্গে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে। সৎ আমলাদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্য সরকারকে বিরক্ত করার জন্যই কেন্দ্র এসব করছে। আর সবটাই করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সবটা হচ্ছে।”
সৌগত রায়ের দাবি, এভাবে অবসরপ্রাপ্ত আমলাকে শোকজ করা যায় না। আলাপনের সঙ্গে প্রতিশোধমূলক আচরণ করছে কেন্দ্র। একই সুর শোনা যায় দলের আরেক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের গলাতেও। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র কেন শোকজ করতে পারে না, তার আইনি ব্যাখ্যাও দেন সুখেন্দুবাবু। তৃণমূলের দাবি, বাংলায় হার মেনে নিতে পারছে না বিজেপি। তাই বারবার রাজ্যের সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে তারা।
উল্লেখ্য, সোমবারই কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ দপ্তরের তরফে জানানো হয়, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুলসের ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী তাঁকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানেই শৃঙ্খলাভঙ্গের উল্লেখ রয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই চিঠির উত্তর দিতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে। এমনকী, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে জবাব পাওয়া না গেলে একতরফা পদক্ষেপ করা হবে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ দপ্তর। কেন্দ্রের এমন পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই তোপ দাগল তৃণমূল নেতৃত্ব।