করোনার ডেল্টা প্রজাতি ভারতের মাথাব্যথার নতুন কারণ
ভাইরাসদের বেঁচে থাকার স্ট্র্যাটেজি হল মিউটেশন। সারস কোভ-২ ভাইরাসটিও একাধিকবার সেই পন্থা অবলম্বন করেছে৷ সম্প্রতি ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ তৈরি করা করোনার রূপকে ডেল্টা প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ কিন্তু করোনার এবার সেই রূপেও বদল। মিউটেট করে এবার সে ডেল্টা প্লাস। বিশ্বে এই বদলেই আসতে চলেছে কোভিডের ‘থার্ড ওয়েভ’৷
ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের (Delta plus variant) টেকনিকাল নাম দেওয়া হয়েছে- B.1.617.2.1 অথবা AY.1. ডেল্টা প্রজাতি ধরা পড়েছিল ভারতে৷ কিন্তু এই প্রজাতির সম্প্রতি বিস্তার ঘটেছে ইউরোপে। যা নিয়ে চিন্তিত ভারত-সহ গোটা বিশ্ব। এই প্যাথোজেনের জিনোম সিকোয়েন্স করা হলেও কীভাবে আরএনএ সিন্থেসিস এর মাধ্যমে চরিত্র বদল হচ্ছে তা এখনও অজানা।
প্রখ্যাত ভাইরোলজিস্টদের মতে এই ডেল্টা প্লাস প্রজাতির সংক্রমণের শক্তির কাছে হার মানবে ভ্যাকসিনও। দেহে করোনার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা অনাক্রম্যতাও যথেষ্ট নয় একে রুখতে পারার জন্য, এমনটাই মত৷
এই নয়া প্রজাতি ভারতের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে। কারণ বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে ডেল্টা প্রজাতির থেকেও এই ডেল্টা প্লাস অনেক বেশি সংক্রমক। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে এই প্রজাতি হানা। যা নিয়ে আগাম সতর্কতাও জারি হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে ডেল্টার অতিমারি রূপ দেখেছিল ভারত। সংক্রমণ থেকে মৃত্যু, প্রতিদিন তৈরি হয়েছিল নয়া রেকর্ড। শুধু ভারত নয়, ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৭৫টি দেশ থেকে করোনার ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণের খবর এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে। এদিকে, দেশে এখনও বাকি টিকাকরণ! আগামী দিনের ভয়বহতাই ভাবিয়ে তুলছে গোটা বিশ্বকে।