নিয়ন্ত্রণে করোনা, অবিলম্বে উপনির্বাচন করুক কমিশন: মমতা
রাজ্যে করোনা (Covid19) পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নির্বাচন কমিশন চাইলে এখনই রাজ্যে উপনির্বাচন পর্ব সেরে ফেলতে পারে। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, ‘‘এখন তো পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। কমিশন চাইলে এখন ভোট করে নিতে পারে। আমি জানি, প্রধানমন্ত্রী বললেই কমিশন উপনির্বাচনের ঘোষণা করবেন। আমি তাই প্রধামন্ত্রীকে সেই উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করব।’’
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে মমতা নন্দীগ্রামে (Nandigram) পরাজিত হয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী সরকার গঠনের ছ’মাসের মধ্যে কোনও আসন থেকে জিতে আসতে হবে। এর জন্য ইতিমধ্যেই মমতার আগের আসন ভবানীপুরের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। শোভনদেব নিজেও কৃষিমন্ত্রী। ফলে তাঁকেও কোনও আসন থেকে জিতে আসতে হবে। তৃণমূল সূত্রে যা জানা গিয়েছেন খড়দহ আসনে প্রার্থী হতে পারেন তিনি। ওই আসনে জয়ী কাজল সিংহ ফল ঘোষণার আগেই মারা যান। সেখানেও নিয়ম মাফিক উপনির্বাচন হওয়ার কথা। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হননি। তাঁকেও ছ’মাসের মধ্যে জিতে আসতে হবে।
বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে প্রার্থীর মৃত্যুতে রাজ্যের দু’টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়নি, দু’টি আসনই মুর্শিদাবাদের। সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে ওই দুই আসনের কথাও উল্লেখ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাইব ওই দুই কেন্দ্রেও দ্রুত নির্বাচন হয়ে যাক। কোভিড এখন নিয়ন্ত্রণে।’’
সাংসদ থেকে যাওয়ার দলীয় সিদ্ধান্তে দিনহাটা ও শান্তিপুর আসন থেকে পদত্যাগ করেছেন বিজেপি-র নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। তাই উপনির্বাচন হবে ওই দু’টি আসনেও। সব মিলিয়ে দুই বিধানসভা কেন্দ্রে সাধারণ নির্বাচন ও চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন করাতে হবে। এটা নিশ্চিত যে, তার মধ্যে একটি উপনির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভা থেকে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি গত ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। সাংবিধানিক আইন অনুযায়ী ছ’মাসের মধ্যে তাঁকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। মমতা যে ভবানীপুরে জিতবেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই তৃণমূলের। যেমন সংশয় নেই গোটা রাজ্যের। কিন্তু উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের নেতাদের একটি অংশের উদ্বেগ, করোনা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে না নির্বাচন অনির্দিষ্টকাল উপনির্বাচন ঝুলিয়ে রাখে নির্বাচন কমিশন। কারণ, ৫ নভেম্বরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়ার শর্তপূরণ করতে হবে। ওইদিনই শেষ হচ্ছে ছ’মাসের মেয়াদ।