যোগী রাজ্যের গঙ্গার জলে ভেসে উঠছে একের পর এক লাশ!
দেশে তখন করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ধাক্কার কবলে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তলানিতে। এমনকী সঠিকভাবে মৃতদেহগুলি সৎকার করার বন্দোবস্তও করা যায়নি। সেসময় যে রাজ্যগুলিতে অবস্থা সবচেয়ে খারাপ হয়েছিল, তার মধ্যে সবার আগে আসে উত্তরপ্রদেশের নাম। প্রশাসন স্বীকার না করলেও কোভিডে যোগীর রাজ্যে যে ভরাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রমাণ আরও একবার মিলল প্রয়াগরাজে গঙ্গার জলস্তর বাড়তেই। প্রয়াগরাজের (Prayagraj) গঙ্গাবক্ষে এখন ভেসে উঠছে একের পর এক লাশ!
মনে করা হচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন চরমে তখনই প্রয়াগরাজে এই দেহগুলি বালিচাপা দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল। আসলে, সেসময় দৈনিক মৃত্যু এতো বেশি ছিল যে, সব দেহ সৎকার করা সম্ভব হয়নি। প্রশাসনের তরফেও বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। তাই কখনও প্রশাসনিক কর্তারা আবার কখনও ভয়ে মৃতের পরিবারের সদস্যরাই সেগুলি কোনওরকমে গঙ্গার ধারে বালিচাপা দিয়ে ফেলে রেখে গিয়েছিলেন। বর্ষার প্রকোপে গঙ্গার জলস্তর বেড়ে মাটি সরতেই নগ্ন হয়ে গিয়েছে যোগী (Yogi Adityanath) প্রশাসনের ব্যর্থতা। বালিচাপা দেওয়া লাশগুলি একে একে ভেসে উঠছে গঙ্গার জলে। কোনওটি পচা, কোনওটি হয়তো গলা। আবার কোনওটি কার্যত অক্ষত। কোনও কোনও মৃতদেহের হাতে গ্লাভস, মুখে অক্সিজেনের নল লাগানোই আছে।
ভেসে ওঠা দেহগুলি জলদি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা কম হয়নি। তবু, সংবাদমাধ্যমের নজর এড়ানো যায়নি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১৫ দিনে এই ধরনের ৭০টি দেহ সৎকার করেছে প্রয়াগরাজ পুরসভা। স্রেফ গত ২৪ ঘণ্টায় ভেসে উঠেছে আরও ৪০টি দেহ। প্রয়াগরাজ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের জোনাল অফিসার নীরজ কুমার সিং দাবি করেছেন, যে দেহগুলি ভেসে উঠছে সবকটিকে যথাযথ রীতি মেনে সৎকার করা হচ্ছে। যদিও উত্তরপ্রদেশ সরকারে মানতে নারাজ যে এই দেহগুলি করোনায় মৃতদের। প্রশাসন বলছে, গঙ্গার ধারে এভাবে সৎকারের রীতি বহু পুরনো। প্রয়াগরাজের পুরপ্রধান অভিলাশ গুপ্তর (Abhilash Gupta) আবার দাবি,হয়তো পরিবারের সদস্যরাই ভয়ে দেহগুলি ফেলে গিয়েছে।