ইউরো কাপে রামধনু বিতর্ক, চাপে UEFA
হঠাৎই ‘রামধনু রং’য়ে আলিয়াঞ্জ এরিনাকে (Allianz Arena) সাজানো নিয়ে তুমুল বিতর্ক আছড়ে পড়ল ইউরো কাপে। জার্মানি বনাম হাঙ্গেরি ম্যাচে আলিয়াঞ্জ এরিনাকে রামধনু রংয়ে সাজাতে চেয়েছিলেন মিউনিখের মেয়র ডিয়েটার রেইটার। এই ব্যাপারে তিনি উয়েফাকে অনুরোধও করেছিলেন। কিন্তু উয়েফা (UEFA) মিউনিখের মেয়রের অনুরোধ নাকচ করে দেয়। মিউনিখের মেয়রের আলিয়াঞ্জ এরিনাকে রামধনু রংয়ে সাজানোর ইচ্ছার পিছনে ছিল অন্য একটি কারণ। সম্প্রতি হাঙ্গেরির স্কুলগুলিতে সমকামিতা এবং রূপান্তরকামীদের সম্পর্কিত কোনও কিছু নিয়ে প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে মিউনিখে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ম্যাচে আলিয়াঞ্জ এরিনার স্টেডিয়ামকে সমকামিতার প্রতীক রামধনু রংয়ে আলোকিত করতে চেয়েছিলেন মিউনিখের মেয়র। মেয়রের এই অনুরোধ বাতিল করে দেওয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে উয়েফা।
সমকামী এবং রূপান্তরকামীদের বিষয়ে স্কুলগুলিতে প্রচার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভিক্টর অরবানের নেতৃত্বে হাঙ্গেরির (Hungary) ডানপন্থী সরকার। উয়েফা নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল। এক বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে যে, মিউনিখের বিষয়টি বুঝতে পারছে। কিন্তু এই অনুরোধটি পুরোপুরিই রাজনৈতিক। হাঙ্গেরির ফুটবল দলের সঙ্গে জড়িত। হাঙ্গেরির ফুটবল দল স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবে। তবে উয়েফা যাই বলুক, তাদের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে ইউরোপিয়ান কমিশনের সহ-সভাপতি মার্গারাইটিস স্কিনাস। তিনি জানিয়েছেন যে, উয়েফার অবস্থানের যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। তিনি বলেছেন, “সত্যি কথা বলতে কী, আমি এর মধ্যে কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না।’’
বেলজিয়ামের (Belgium) টমাস মুনিয়েরও উয়েফার উপর প্রবল চটেছেন। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে বেলজিয়াম ফুটবলাররা রামধনু রঙা আর্মব্যান্ড নিয়ে বসার সময় থেকেই মনে হচ্ছিল, কিছু না কিছু একটা ঘটবে। গোলাগুলি ধাওয়া করে আসবে। এলও তাই। “সময় সময় বুঝতে পারি না, আমরা কোন শতাব্দীতে বাস করছি? এটা কি সত্যিই একুশ শতক নাকি এখনও মধ্যযুগীয় মানসিকতার দাসত্ব করছি আমরা? লোক তার পছন্দ-অপছন্দ নিজে ঠিক করবে। সেটা সবাইকে মেনে নিতেও হবে। কিন্তু যা ঘটছে, তাকে চরম দুর্ভাগ্যজনক ছাড়া কিছু বলতে পারছি না,” ফুঁসতে ফুঁসতে বলে দিয়েছেন মুনিয়ের। শুধু তাই নয়, এডেন হ্যাজার্ডরা (Eden Hazard) মোটামুটি ঠিক করে ফেলেছেন যে তাঁরা শেষ ষোলোর ম্যাচে রামধনু রঙা আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামবেন! যা নিঃসন্দেহে উয়েফার অস্বস্তি আরও বাড়ানো ছাড়া কমাবে না।