বড় ভাঙন বিজেপিতে, ঝাড়গ্রামের গ্রাম পঞ্চায়েত মিশে গেল তৃণমূলে
একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে চলে যাচ্ছে। জেলায় জেলায় বিজেপির সংগঠন দুর্বল হতে শুরু করেছে। এবার ফের বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করেছিল বিজেপি। সেই বোর্ডের ভাঙ্গন ধরতেই বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত হাতছাড়া হলো। এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল ব্লকের ছত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayet)।
গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে জানান, বিজেপি পরিচালিত পুরসভায় কাজ করতে বেশ অসুবিধা হচ্ছিল। এছাড়া গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠছিল। তাই সবাই মিলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮টি আসন বিশিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি এবং বাকি দুটি আসনে পায় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।
পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান–সহ বোর্ড গঠন করে বিজেপি (BJP)। বিধানসভা নির্বাচনের পরেই দলের মধ্যে ভাঙন ধরতে শুরু করে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী ৬ জন বিজেপি সদস্যের মধ্যে উপপ্রধান–সহ ৪ জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসা হয় প্রশাসনিক আধিকারিকের কাছে। ভোটাভুটিতে অনাস্থা প্রস্তাবের জয়ী হয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার বিজেপির উপপ্রধান–সহ চারজন সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ডাক্তার খগেন্দ্রনাথ মাহাতোর হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে।