অভিষেকের সহযোগিতায় গ্রামীণ হাসপাতাল সংস্কার, খুশি এলাকার মানুষ
মুচিসা লক্ষ্মীবালা দত্ত গ্রামীণ হাসপাতালের (Rural Hospital) সংস্কারের কাজ ৬৫ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। আগামী ৪ মাসের ভিতর বাকিটা হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুচিসা হাসপাতালে পরিষেবা প্রদানকারী অনুষ্ঠানে ওই কথা বলেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ পার্থপ্রতিম সরকার। এদিনের ওই অনুষ্ঠানে বিএমএইচও-র হাতে একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তুলে দেন বিডিও বজবজ-২ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায়। সহ সভাপতি বলেন, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এই অঞ্চলের ব্লকগুলিতে করোনা রোগীদের সাহায্য করার জন্য এই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দিয়েছেন। এর মাধ্যমে একই সঙ্গে ৩ থেকে ৪ জনকে অক্সিজেন দেওয়া যাবে। ব্লকের পক্ষ থেকে সেই কারণে এটি হাসপাতালের রোগীদের জন্য তুলে দেওয়া হল।
বিএমএইচও বলেন, এটা পেয়ে হাসপাতালের অনেক উপকার হল। তিনি জানান, এই হাসপাতালে সার্বিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগ, চিকিৎসকদের বসার জায়গা, অপারেশন থিয়েটার, মেডিসিনের স্টোর রুমের ছাদ ফেটে গিয়ে জল পড়ছিল। তাতে বর্ষার সময় রোগীরা দাঁড়াতে পারতেন না। চিকিৎসরা বসতে পারতেন না। ওষুধ নষ্ট হয়েছে। এক্সরে রুমের দেওয়াল বেয়ে জল পড়ত। এছাড়াও হাসপাতালের কর্মী আবাসনও ভেঙে পড়েছে। বিশাল বড় এই হাসপাতালের কোনও বাউন্ডারি ওয়াল ছিল না। ফলে বাইরে থেকে যখন তখন লোক ঢুকে যাচ্ছিল। আরও একটা সমস্যা হচ্ছিল, তা হল, হাসপাতালের কোনও নিকাশি ব্যবস্থা ছিল না। ফলে এখানকার জল বের হতে পারে না। পাশাপাশি বর্ষার সময় জল জমে হাসপাতালের চারপাশ প্লাবিত হয়। বিষয়টি এখানকার ব্লকের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদকে বলা হয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত তাঁর সহযোগিতায় হাসপাতাল সংস্কারের জন্য ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা পাওয়া যায়। তা দিয়ে জোরকদমে সংস্কারের কাজ চলছে। এর ভিতর বহিবির্ভাগ, অন্তবির্ভাগ, স্টোর রুম থেকে চিকিৎসকদের বসার জায়গা ঝকঝকে করে সাজানো হয়েছে। ছাদের উপরের কাজও শেষ। গোটা হাসপাতাল জুড়ে পেপার ব্লক করা হচ্ছে। পাঁচিল দেওয়ার কাজ চলছে। তা শেষ হলে হাসপাতালের নিকাশি কাজ শুরু হবে। অন্যদিকে, এদিন মহেশতলা পুরসভায় অভিষেকের দেওয়া অক্সিজেন কনসেনট্রেটর প্রদান অনুষ্ঠান হয়। তার উদ্বোধন করেন বিধায়ক দুলাল দাস।