রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

আসানসোলে বিজেপির জেলা সম্পাদক তৃণমূলের পথে? জল্পনা শুরু

June 26, 2021 | 2 min read

খনি শহর আসানসোলে কি বিজেপি-র (BJP) পায়ের তলার মাটি সরছে? সদ্য পেরিয়ে আসা বিধানসভা ভোটে শিল্প শহরে দলের গুরু দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়া একাধিক নেতা এখন ‘বেসুরো’ বাজছেন। কেউ আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বলছেন, ‘‘মন ভেঙে গিয়েছে।’’ সেই তালিকায় রয়েছেন বিজেপি-র আসানসোলের জেলা সম্পাদকের পদে থাকা মদনমোহন চৌবেও (Madan Mohan Choubey)। সম্প্রতি আসানসোলে যে সব দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি-র দূরত্ব প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে তাঁদের গন্তব্য কোথায়? এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। শনিবার সংবাদ মাধ্যমকে মদনমোহন বলেছেন, ‘‘আমরা তৃণমূলে যাচ্ছি।’’ মদনমোহন এ কথা বললেও তিনি কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিজেপি জেলা সম্পাদকের পদ ছাড়েননি।

খনি শহরে গেরুয়াশিবিরের একটি বড় অংশের রাজনৈতিক গতিবিধি ঘিরে যখন আলোচনা তুঙ্গে, ঘটনাচক্রে ঠিক সেই সময়েই শহরের রবীন্দ্রভবনে তৃণমূল আয়োজন করেছে ‘যোগদান’ মেলার। যে মেলার মূল উদ্যোক্তা রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মলয় ঘটক। আর তাতেই দুইয়ে দুইয়ে চার করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তৃণমূল সূত্রে খবর, রবিবারের ওই ‘মেলা’য় বিজেপি ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরের পতাকা তুলে নিতে চলেছেন গেরুয়াশিবিরের প্রায় ৪০০ নেতা এবং কর্মী। তৃণমূল শিবিরের বিভিন্ন সূত্র বলছে, ২১ জুলাই ‘শহিদ দিবস’-এ শুধুমাত্র আসানসোল থেকেই সমাবেশে যোগ দিতে চলেছেন বিজেপি-র বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় ৬ হাজার সদস্য।

২০১১ সালে অর্থাৎ রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের সময় আসানসোল উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছিলেন মদনমোহন। ২০১১ সালের নির্বাচনে তাঁকে হার মানতে হয়েছিল। তার ১০ বছর পর, ২০২১ সালেও দলের এক জন সদস্য হিসাবেও সেই একই অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছেন তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুর হারের মুখোমুখি হওয়ার দায় মদনমোহন ঠেলছেন দলের উচ্চপদস্থ নেতাদের ঘাড়ে। তাঁর মতে, ‘‘মনটা ভেঙে গিয়েছে। অনেক জায়গাতেই যাঁদের টিকিট দেওয়া হয়েছিল তাঁদের বদলে বিজেপি-র কোনও কর্মীকে টিকিট দিলে ভাল হত। শুধু এখানে নয়। সব জায়গায়। ভাবতে পারিনি নিজের দল তার আদর্শ থেকে সরে যাবে এবং দুর্নীতি করবে। দল করার আর মানসিকতা আর নেই। এই দুর্নীতিতে কারা জড়িত সে খবর আপনারা কিছু দিন বাদে পেয়ে যাবেন। বড়, ছোট সব নেতাই এর সঙ্গে জড়িত।’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন