রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

এবার বাড়িতে চিকিৎসা করালেও মিলবে বিমার টাকা

June 27, 2021 | 2 min read

সব রোগের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির মতো পরিস্থিতি থাকে না। বাড়িতে থেকেই বহু রোগীর চিকিৎসা চলে। ওষুধপত্র বা নার্সিংয়ের পাশাপাশি চিকিৎসকও বাড়িতে আসেন নিয়মিত। স্বাস্থ্যবিমা থাকলেও এসবের যাবতীয় খরচ জোগাতে হয় গৃহকর্তা বা রোগীকে। এবার থেকে বিমা সংস্থা সেই খরচ জোগাবে। কোনও রোগীর যদি স্বাস্থ্যবিমা করা থাকে এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে যদি বাড়িতেই চিকিৎসা চলে, সেক্ষেত্রে বিমা সংস্থাকেই ক্লেম মেটাতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি সব সাধারণ এবং স্বাস্থ্যবিমা সংস্থাকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইনসিওরেন্স (insurance) রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (আইআরডিএআই)।

এতদিন মূলত হাসপাতালের খরচ মিটিয়ে এসেছে স্বাস্থ্যবিমা সংস্থাগুলি। সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু আর্থিক খরচের দায় নিয়েছে তারা। এবার নয়া নিয়ম কেন কার্যকর হতে চলেছে? সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, করোনা সংক্রমণ গোটা চিকিৎসা পদ্ধতি ও রীতিনীতিগুলিকেই আমূল বদলে দিয়েছে। বেডের অভাবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাননি বহু মানুষ। আবার অনেকের তার প্রয়োজনও হয়নি। তাঁরা বাড়িতে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়েছেন। এঁদের মধ্যে যাঁদের স্বাস্থ্যবিমা করা ছিল, তাঁদের তা কাজে লাগেনি। বহু জায়গায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বিষয়টি বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরে আনেন গ্রাহকরা। এই সমস্যা থেকে সুরাহা দিতেই এই নতুন পন্থা।

বিমা সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে, চলতি পলিসিগুলিতে গ্রাহকদের এই সুযোগ দিতে হবে। তবে, এই সুবিধা গ্রাহকদের নিতে হবে ‘রাইডার’ হিসেবে। অর্থাৎ, স্বাস্থ্যবিমা বাবদ যে প্রিমিয়াম দেন, তার চেয়ে বেশি টাকা দিতে হবে তাঁদের। সেই অর্থের পরিমাণ স্থির করবে বিমা সংস্থাগুলি। চিকিৎসার খরচ সংক্রান্ত ঝুঁকি, চিকিৎসার খরচ মেটানোর শর্ত, রোগীর বয়স প্রভৃতির উপর নির্ভর করবে প্রিমিয়ামের টাকার অঙ্ক। এ ব্যাপারে বিমা বিক্রির ব্যাপারে আগেই যাবতীয় তথ্য জানাতে হবে গ্রাহককে। কত দিন পর্যন্ত বাড়িতে চিকিৎসায় কী কী খরচ জোগাবে স্বাস্থ্যবিমা সংস্থাগুলি, সেই বিষয়গুলির স্পষ্ট করে উল্লেখ রাখতে হবে পলিসি সংক্রান্ত চুক্তিতে।

সংশ্লিষ্ট মহলের আরও ব্যাখ্যা, করোনার কারণে এই সুবিধা আনা হলেও বহু রোগী অন্য রোগের চিকিৎসাও বাড়িতে থেকে করান। তাতে খরচ যেমন কম, তেমনই সর্বক্ষণ পরিবারের লোকজনকে পাশে পাওয়া যায়। অনেকে কঠিন রোগেও হাসপাতালে ভর্তি হতে চান না। তাঁদের ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়মে অনেক সুবিধা হবে। অন্যদিকে, বেসরকারি হাসপাতালের বেড ভাড়া ক্রমশ বাড়ছে। সেক্ষেত্রে বাড়িতে চিকিৎসা হলে সার্বিক খরচেও লাগাম দেওয়া যায়। তবে বাড়িতে চিকিৎসা চলাকালীন যে কোনও সময় গুরুতর সমস্যা হতে পারে রোগীর। জানা গিয়েছে, সেক্ষেত্রে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরও যাতে চিকিৎসা খরচ মেলে, সেই বিষয়েও স্পষ্ট তথ্য থাকতে হবে বিমার শর্তে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#insurance, #kolkata covid care

আরো দেখুন