সেরাম ইনস্টিটিউটকেও প্রতারিত করেছেন দেবাঞ্জন, তদন্তে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য
শুধু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নয়, পুরসভার নামে ভুয়ো ইমেল আইডি (ID)-ও খুলেছিল দেবাঞ্জন দেব। ওই আইডি ব্যবহার করে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটের এক অফিসারকেও ইমেল পাঠিয়ে কোভিশিল্ড পাঠাতে বলেছিল সে! অভিযুক্তকে জেরা করে এবার এমনই তথ্য পেয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, জি স্যুট (G Suite) ব্যবহার করে manager@kmcgov.org নামে একটি মেইল আইডি খুলেছিল সে।
এদিকে রবিবার আরও ১০ জনকে ওই কাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে তলব করেছে লালবাজার। যাদের মধ্যে দেবাঞ্জনের বর্তমান কর্মী এবং প্রাক্তন কর্মীরা রয়েছেন। এছাড়াও তথ্য যাচাইয়ের জন্য আরও বেশ কিছুজনকে ডেকে পাঠানো হয় এদিন। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে দিয়েই জাল টিকাকাণ্ডের শিকড় কতদূর বিস্তৃত তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জনকে জেরা করার একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। যেমন, শুধুমাত্র নবান্ন বা KMC নয়, I&CA, PWD, WBSEC-র মতো একাধিক সরকারি দফতরের প্যাড এবং স্ট্যাম্প ব্যবহার করত ধৃত। ইতিমধ্যেই বিপুল পরিমাণ প্যাড এবং স্ট্যাম্প উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ‘শিকার’দের কাছে নিজেকে সত্যিকারের IAS প্রমাণ করার জন্য তাঁদের সামনেই সরকারি আধিকারিকদের নাম উল্লেখ করে ওই লেটার প্যাডে চিঠি লিখত সে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের হয়েও প্রত্যুত্তরও সেই লিখত। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য ওই স্ট্যাম্প ব্যবহার করত অভিযুক্ত।
অন্যদিকে, তার নামে আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তবে নিজের নামে নয়, ওই অ্যাকাউন্টটি সে খুলেছিল নিজের সংস্থা M/S WBFINCORP-র নামে। সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই নাকি সে কর্মীদের টাকা দিত। যদিও আগে জেরার মুখে তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথাই জানিয়েছিল দেবাঞ্জন দেব (Debanjan Deb)। তার আধার এবং PAN কার্ড নম্বরের সঙ্গে কোন কোন অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক রয়েছে তা খতিয়ে দেখছিল লালবাজারের Anti Bank Fraud শাখা। বর্তমানে আটটি অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দু’টি জায়গায় ভুয়ো ক্যাম্প করেছিল বলেই দাবি করছে সূত্রের খবর, সোমবার ঘটনাস্থলে দেবাঞ্জনকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হতে পারে। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি লালবাজার।