কেন্দ্রের নাম নিয়েও প্রতারণা করেছেন দেবাঞ্জন, অস্বস্তিতে বিজেপি
শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের আমলা হিসাবে নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আমলা হিসাবেও নিজের পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেছিলেন ভুয়ো টিকাকরণ-কাণ্ডে গ্রেফতার দেবাঞ্জন দেব। গত বছর ডিসেম্বর মাসে নিজের দেহরক্ষী নিয়োগ করার সময় এই প্রতারণা করেন তিনি।
দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে একটি চিঠি সামনে এসেছে, যেখানে নিজেকে কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্ম সচিব এবং ওএসডি (অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি) বলে উল্লেখ করেছেন দেবাঞ্জন। চিঠিটি দেওয়া হয়েছে নবান্ন ও কেন্দ্রীয় সরকারকে। সেখানে লেখা রয়েছে, দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী শুভ্রাশিস দাস ব্যক্তিগত কিছু কারণে কাজে যোগ দিতে পারছেন না। তাই তাঁকে বেসরকারি সংস্থা থেকে দেহরক্ষী নিয়োগ করতে হবে। ইতিমধ্যেই অরবিন্দ বৈদ্য নামের এক জন প্রাক্তন আধাসেনা জওয়ানকে তাঁর দেহরক্ষী হিসাবে নিয়োগ করার অনুমতি দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। নগরপাল একা নন অনুমতি দিয়েছে সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-ও। কেন্দ্রও যেন সেই অনুমতি দেয়, এমন আর্জিও জানিয়েছেন দেবাঞ্জন।
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, প্রথম তিন মাসের জন্য মাসিক ৪১ হাজার টাকা বেতনের বিনিময়ে দেহরক্ষী হিসাবে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ করা হবে অরবিন্দকে। তাঁর কাজ ঠিক থাকলে পরে তাঁকে স্থায়ী করা হবে। যদিও এই পুরো চিঠিটি জাল বলেই জানা গিয়েছে। অরবিন্দকে নিয়োগ করার জন্যই এই চিঠিতে তাঁকে দেন দেবাঞ্জন। ১৯ ডিসেম্বর একটি ভুয়ো নির্দেশিকাও অরবিন্দকে দেন দেবাঞ্জন। যেখানে এই বিষয়ে বিস্তারিত লেখা ছিল।
গত কয়েক দিনে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ সামনে এসেছে। ভুয়ো টিকাকরণ শিবির থেকে শুরু করে ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই কিট কেনার ক্ষেত্রেও প্রতারণা সামনে এসেছে। সব জায়গায় নিজেকে রাজ্য সরকারের যুগ্ম সচিব হিসাবে পরিচয় দিয়ে কলকাতা পুরসভার নামে প্রতারণা করতেন দেবাঞ্জন। এ বার জানা গেল শুধু রাজ্য সরকার নয়, দেবাঞ্জন প্রতারণা করেছেন কেন্দ্রের নাম নিয়েও।