বঙ্গ কংগ্রেসে অধীর-মান্নান বিভাজন প্রকাশ্যে
ভাইজান ও তাঁর দলকে নিয়ে পথ চলতে প্রথম থেকেই রাজি ছিলেন না প্রদেশ কংগ্রেস( West Bengal Congress) সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী(Adhir Ranjan Chowdhury)। কিন্তু একুশের নির্বাচনে জোট বজায় রাখতে মেনে নিতে হয়েছিল আইএসএফ(ISF)–কে। সম্প্রতি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেছিলেন, আইএসএফ–এর সঙ্গে জোট করেনি কংগ্রেস। এবার ১৮০ ডিগ্রি উল্টো সুর শোনা গেল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আবদুল মান্নানের গলায়। রবিবার আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে তিনি জানান, তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কথা শুনে চলেন। কেউ তাঁকে ডিক্টেট করলে তিনি তা মেনে নেবেন না। নাম না করে তিনি অধীর চৌধুরীকেই নিশানা করেছেন বলে মনে করছেন অনেক নেতাই।
কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ মান্নান–আব্বাস সাক্ষাৎ কেন? এদিন মান্নান সাহেব বলেন, ‘জোট হয়েছিল। জোটের কথা সোনিয়া–রাহুল জানতেন। ২০১১ সালে দিল্লি থেকে রাজ্যসভার মনোনয়ন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছিল। আমার বদলে মনু সিংভিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। সবাই ভেবেছিল আমি প্রতিবাদ করব। কিন্তু আমি তা করিনি। কারণ আমি দলের অনুগত কর্মী। তবে টম, ডিক, হ্যারিরা যদি আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তা মেনে নেওয়া হবে না।’ হঠাৎ তিনি এমন কথা বললেন কেন? তা নিয়েও জোর চর্চা শুরু হয়েছে বিধান ভবনে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই আইএসএফ–এর সঙ্গে জোট নিয়ে অধীররঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, আমাদের সঙ্গে আইএসএফ–এর কোনও জোট হয়নি। এই বক্তব্য রাখার পরেই মান্নান সাহেবের ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যাওয়া অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অধীর–মান্নান গোষ্ঠী আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। তাতে এই ফাটল প্রকাশ্যে এসে পড়ল। যা কংগ্রেসের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। ইতিমধ্যেই অধীরের বিরুদ্ধে হাইকমান্ডে চিঠি জমা পড়েছে।
নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর ভরাডুবির পর্যালোচনা থেকে শুরু করে জোটের ভবিষ্যৎ সব ক্ষেত্রেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে আব্বাস সিদ্দিকি। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, আইএসএফ–এর সঙ্গে জোট ভুল ছিল। শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এমনটাই তথ্য পেশ করেছে বেশ কয়েকটি জেলা কমিটি। এখন কংগ্রেসেও আড়াআড়ি বিভাজন দেখা গেল।