প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে যোগ্যতম মমতা, দাবি কৃষক নেতা টিকায়েতের
গত ২৬ শে জুন কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলনের সাত মাস পূর্ণ হয়। সেই উপলক্ষে দেশজুড়ে নতুন করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল শতাধিক কৃষক সংগঠনের মঞ্চ সংযুক্ত কিষান মোর্চা। আন্দোলনের কর্মসূচি ছিল, প্রতিটি রাজ্যের রাজ ভবনে গিয়ে ক্ষোভ প্রদর্শন করা এবং রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া। একমাত্র দাবি, কেন্দ্রীয় তিনটি কৃষি আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানা গাজীপুরে গত ৭ মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা। এ দিন কৃষকরা যাতে রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছতে না পারে সেইজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছিল। মোতায়েন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয়, বাহিনী ঘিরে দেওয়া হয়েছিল রাস্তা। রাজধানী দিল্লির আনাচে-কানাচে নাকা চেকিং শুরু হয়। স্বভাবতই কৃষকরা রাজভবন পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি।
সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতা জানিয়েছেন, “এইভাবে পুলিশি জুলুম করে কৃষকদের আটকানো যাবে না। আন্দোলন নিজের পথেই চলবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না কেন্দ্রীয় কৃষি আইন গুলি প্রত্যাহার করা হচ্ছে ততক্ষণ সড়কের উপরেই বসে থাকবেন বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা কৃষকরা।”
তিনি বলেন, “বিরোধী দলগুলি একজোট হয়েছে সেটি রাজনীতির বিষয়। আমি বাংলায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছি। দেশ ও রাজ্যের বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিপুল জয় পেয়েছেন তার পেছনেও রয়েছে কৃষক আন্দোলন। আবার কলকাতায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাই। দেশজুড়ে ওঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ ওঁকে ভালোবাসেন। বড্ড জেদি মহিলা। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে যোগ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”