বিধানসভায় হাজির থেকেও সর্বোদলে নেই, শুভেন্দুর ভূমিকায় ক্ষোভ
নতুন সরকার গঠনের পর রাজ্য বিধানসভার প্রথম অধিবেশন। আসন্ন অধিবেশনের আগে সোমবার সর্বদল বৈঠকের (All party meet) ডাক দিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। বিরোধী বলতে শুধুই ৭৫ জন বিজেপি (BJP) বিধায়ক এবং এক আইএসএফ (ISF) বিধায়ক। বিজেপি বিধায়করা সকলেই সর্বদল বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিধানসভায় উপস্থিত থাকলেও সর্বদল বৈঠক এড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তা নিয়েই নতুন করে উসকে উঠছে একাধিক জল্পনা।
সূত্রের খবর, সোমবারের সর্বদল বৈঠকে শুভেন্দুর উপস্থিতি নিয়ে আগেই জলঘোলা হচ্ছিল। তিনি অংশ নিতে নাও পারেন, এমন গুঞ্জন উঠেছিল। তবে সোমবার সকালে দেখা গেল, বিধানসভায় এসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। সর্বদলের আগে বিজেপি পরিষদীয় দল তাঁর নেতৃত্বেই নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে। সূত্রের খবর, আসন্ন অধিবেশনে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে বিজেপি সরব হবে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে, তেমনই স্ট্র্যাটেজি ঠিক করা হয়েছে। বিধানসভায় হাজির রয়েছেন মনোজ টিগ্গা, সুদীপ মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক বিধায়ক। আগে মনোজ টিগ্গাই ছিলে বিজেপি পরিষদীয় দলনেতা।
কিন্তু পরিষদীয় দলের বৈঠকের পর আর দেখা যায়নি শুভেন্দুকে। তিনি সর্বদল বৈঠকেও ছিলেন না। সর্বদলের পর অধিবেশনের চূড়ান্ত কার্যপদ্ধতি স্থির করতে এদিন দ্বিতীয়ার্ধ্বে যে বিএ কমিটির (BA Committee) বৈঠক রয়েছে, তাতেও বিরোধী দলনেতা থাকবেন না বলে প্রথমে মনে করা হয়েছিল। তবে বৈঠক শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সবাই। তবে তিনি এও বলেন যে সর্বদল বৈঠকে বিরোধী দলনেতার উপস্থিতি কাম্য ছিল। তিনি থাকলে ভাল হতো। কারণ, এই বৈঠকেই বিধান পরিষদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
কিন্তু কেন এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েও শুভেন্দুর সর্বদল বৈঠক এড়িয়ে যাওয়া? তা নিয়ে অনেক জল্পনা তৈরি হয়েছে। এদিন সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়ক ভাঙড়ের নওশাদ সিদ্দিকী সর্বদল বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি। তার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি স্পিকারকে চিঠি পাঠাচ্ছেন বলে খবর। এটা অত্যন্ত অসৌজন্যমূলক আচরণ, দাবি নওশাদের।