কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করছেন ধনকড়, অভিযোগ তৃণমূলের

June 29, 2021 | 2 min read

রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ হল মঙ্গলবার। সোমবার নবান্ন থেকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ওইদিন বিকেলেই রাজভবন থেকে পাল্টা জবাব দেন জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। এদিন তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রাজ্যপালকে আরও একপ্রস্থ কটাক্ষ করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ।

এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ‘শোলে’ সিনেমার সুরমা ভুপালির সঙ্গে তুলনা করেছেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। দলের তরফে তিনি বলেন, আমরা শোলে সিনেমাতে সুরমা ভুপালিকে দেখেছিলাম। সারাক্ষণ যিনি হম্বিতম্বি করতেন। পরে জানা যায় তিনি নিজেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। রাজ্যপালও তাঁর মতোই, বলেন ব্রাত্য বসু।

ব্রাত্য বসু আরও বলেন, রাজ্যপালের যদি কোনও হিসেব জানার হতো তবে তা তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই চাইতে পারতেন। তা না করে কেন তিনি দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন সেই প্রশ্ন তোলেন ব্রাত্য বসু। এদিন তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হন ব্রাত্য বসু এবং সুখেন্দু শেখর রায়p (Sukhendu Sekhar Ray)। তাঁরাই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের পদ থেকে জগদীপ ধনকড়কে অপসারণের দাবি দীর্ঘ দিন ধরেই তুলেছে শাসকদল। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং একাধিক বার চিঠি লিখেছেন দিল্লিতে। এদিনও তার অন্যথা হয়নি। দলের তরফ থেকে রাজ্যপাল বদলের দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

গতকাল মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন হাওয়ালা জৈন মামলায় চার্জশিটে নাম ছিল জগদীপ ধনকড়ের। এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে কেন রাজ্যপালের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সে প্রশ্নও তুলেছিলেন তিনি।

এদিন তৃণমূলের গলাতেও একই সুর শোনা গেল। রাজ্যপাল যদিও গতকালই স্পষ্ট জানিয়েছিলেন চার্জশিটে তাঁর নাম ছিল না। কিন্তু তৃণমূলের দাবি, অর্ধসত্য বলছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।

সরকারকে কালিমালিপ্ত করার উদ্দেশে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছেন তিনি। রাজ্যপাল চাইলেই জিটিএ নিয়ে তথ্য তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হত, জানায় শাসকদল। কিন্তু তা ধনকড় করেননি। তথ্য না চেয়েই অডিটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তিনি, যা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছে তৃণমূল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Jagdeep Dhankhar, #tmc, #TMC Bhaban, #hawala scam

আরো দেখুন