সুইডেনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ইউক্রেন
ইউরো কাপের (Euro 2020) কোয়ার্টার ফাইনালে শেভচেঙ্কোর ইউক্রেন। সে দেশের ফুটবল ইতিহাসে শেভচেঙ্কোর চেয়ে বড় ফুটবলার আর কেউ আসেননি। ফুটবলার জীবনে বল পায়ে ফুল ফুটিয়েছিলেন। এবার কোচ হয়ে ইউরোয় এসে দেশকে নিয়ে গেলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। প্রথম বার শেষ আটে গেল ইউক্রেন। ১২০ মিনিটের মরিয়া লড়াইয়ের শেষে ইউক্রেন ২-১ গোলে হারাল সুইডেনকে। ঠিক ৯ বছর আগের ইউরো কাপে একই ফলে সুইডেনকে হারিয়েছিল ইউক্রেন। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন শেভচেঙ্কো। এদিন কোচ শেভচেঙ্কোর জন্য তোলা রইল শেষ হাসি। শেষ আটে ইউক্রেনের সামনে এবার ইংল্যান্ড।
গ্রুপে নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, নর্থ ম্যাসিডোনিয়ার সঙ্গে ছিল ইউক্রেন। নর্থ ম্যাসিডোনিয়াকে হারিয়ে নকআউট পর্বে পৌঁছয় ইউক্রেন। ম্যাচের বল গড়ানোর আগে সাংবাদিক বৈঠকে বারবার শেভচেঙ্কো জানিয়েছিলেন, সুইডেনকে হারানো সম্ভব। সেটাই ম্যাচে করে দেখালেন তাঁর ছেলেরা। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে সুইডেনের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই ইউক্রেন নজর কাড়ে। বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে আক্রমণে উঠছিলেন জিনচেঙ্কো-ইয়ারমোলেঙ্কোরা। খেলার ২৭ মিনিটে এরকমই এক আক্রমণ থেকে গোল পায় ইউক্রেন। আন্দ্রেই ইয়ারমোলেঙ্কোর বাঁ পায়ের পাস থেকে জোরালো শটে গোল করেন জিনচেঙ্কো। শটে এতটাই জোর ছিল যে সুইডেনের গোলকিপারের হাতে লেগে জালে জড়িয়ে যায় বল।
বিরতির ঠিক আগে সমতা ফেরায় সুইডেন। ফর্সবার্গের জোরালো শট ইউক্রেনের ডিফেন্ডারের শরীরে লেগে আছড়ে পড়ে ইউক্রেনের জালে। দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক বার ইউক্রেনের গোলমুখে আক্রমণ শানায় হলুদ জার্সিধারীরা। ফর্সবার্গের শট একাধিক বার পোস্টে লেগে প্রতিহত হয় আবার কখনও আলেকাজান্দার ইজাক সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। ইউক্রেনের গোলকিপার বুশচানও একাধিক বার দলকে বাঁচান। নির্ধারিত সময়ে কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি। ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। এক্সট্রা টাইমের প্রথমার্ধে সুইডেনের ড্যানিয়েলসন লাল কার্ড দেখেন। ১০ জনে নেমে যায় সুইডেন। খেলার একেবারে শেষ লগ্নে এসে তার সুযোগ নেয় ইউক্রেন। খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগে হেডে গোল করে সুইডেনকে ছিটকে দেন ডভবিক। দেশের হয়ে এটাই তাঁর প্রথম গোল।