সমালোচনা প্রত্যাশিত ছিল, ‘রে’ প্রসঙ্গে জানালেন সৃজিত
মুক্তি পাওয়ার পর এক সপ্তাহও পেরোয়নি। এর মধ্যেই প্রচারের সবটুকু আলো শুষে নিয়েছে ‘রে’ (Ray)। ঘোষণার দিন থেকেই আগ্রহের পারদ তো চড়েইছিল আর মুক্তি পাওয়ার পর চর্চায়, তর্কে আপাতত শুধুই ‘রে’। সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) লেখা জনপ্রিয় চারটি ছোটগল্পের ওপর ভিত্তি করে চারটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি। জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের (Netflix) তরফে এভাবেই ‘ট্রিবিউট’ জানানো হয়েছে বিশ্ব সিনেমার সর্বকালের অন্যতম সেরা পরিচালকের স্মৃতির উদ্দেশে।সত্যজিতের লেখা চারটি ছোটগল্প বিপিনবাবুর স্মৃতিভ্রম, বহুরূপী, বারীন ভৌমিকের ব্যারাম এবং স্পটলাইট থেকে ভিত্তি করে যথাক্রমে এই সিরিজের ‘ফরগেট মি নট’, ‘ ‘বহুরূপীয়া’,’হাঙ্গামা কিউ হ্যাঁয় বরপা’ এবং ‘স্পটলাইট’। এর মধ্যে ‘ফরগেট মি নট’ ও ‘ ‘বহুরূপীয়া’ পরিচালনা করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee) ।
তবে মুক্তি পাওয়ার পরে দর্শকের একাংশ কিন্তু কঠোর সমালোচনা করেছে নেটফ্লিক্সের এই অ্যান্থলজি সিরিজকে। অবশ্য এই সমালোচনা নিয়ে যে একটু অবাক হননি তিনি তা স্বয়ং জানিয়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে অন্য একটি সাক্ষাৎকারে সৃজিত নিজেই সরাসরি জানিয়েছিলেন ‘রে’ মুক্তি পাওয়ার পর সমালোচনা শোনার জন্য প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন তিনি। আন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে ‘বহুরূপীয়া’-র নির্দেশক জানিয়েছেন সত্যজিতের গল্প নিয়ে এমন ‘র্যাডিক্যাল’ কাজ যেহেতু আগে হয়নি তাই তিনি মোটামুটি ভেবেই রেখেছিলেন যে কিছু তাত্ত্বিকদের তাঁর এই কাজ ভালো নাও লাগতে পারে। তাই তিনি কিংবা নেটফ্লিক্স দু’পক্ষের কেউই এই সমালোচনায় বিন্দুমাত্র অবাক হননি।
‘রে-তে মানুষের অন্ধকার দিকগুলোর কথা তুলে আনা হয়েছে। অনেকেই বলেছেন তাঁদের এই সংযোজন ভালো লাগেনি। কেউ কেউ বলেছেন কিছু ব্যাপার সংযোজন না করে ভালো। আবার কেউ কেউ মুগ্ধও হয়েছেন।’ পরিষ্কারভাবে জানালেন সৃজিত। শুধু তাই নয়, ‘রে’-তে তাঁর কাজের প্রশংসা করেছে তসলিমা নাসরিন, বিশাল ভরদ্বাজ, প্রীতিশ নন্দী, আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত-রা। এমনকি বিশাল ভরদ্বাজের সবথেকে পছন্দ হয়েছে ‘ফরগেট মি নট’। তাঁর এতটাই ভালো লেগেছে যে তিনি তা নিয়ে সৃজিতের সঙ্গে বিশদে আলোচনাও করতে চেয়েছেন।
অন্যদিকে ‘রে’ নিয়ে নিজের অখুশি কথা মোটেও লুকিয়ে রাখেননি সত্যজিৎ-পুত্র সন্দীপ রায়। জানিয়েছেন এবার থেকে ভেবেচিন্তে সত্যজিতের গল্পের স্বত্ব দেবেন। সে বিষয়ে সন্দীপ রায়কে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে সৃজিত বলেন যে নেটফ্লিক্সের সঙ্গে বাবুদের কী কথা হয়েছিল তা তিনি জানেন না। গল্প থেকে ছবির চিত্রনাট্য কতটা সরবে সে ব্যাপারেও উনি কতটা অবগত ছিলেন তাও জানতেন না তিনি, দাবি পরিচালকের। বক্তব্যের শেষে সৃজিতের সংযোজন,’ বাবুদার (সন্দীপ রায়) সঙ্গে এ বিষয়ে আমি একমত। বাবুদার কাছে স্বত্ব। তিনি কোথায় দেবেন, কাকে দেবেন, কতটা দেবেন, সেটা একদম তাঁর ব্যাপার।’