বিধায়ক আবাসে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি
বিধানসভার (Assembly) অন্দরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ঢোকায় আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এবার সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে এমএলএ হোস্টেলে (MLA Hostel) বা বিধায়ক আবাসে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। এমনকী নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া বিধায়ক আবাসের গেটে। তবে বিধায়ক আবাসের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীদের অস্ত্র রাখার ক্ষেত্রে কোন বিধিনিষেধ নেই।
এই বিধায়ক আবাসটি রয়েছে পার্ক স্ট্রিটের রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের উপর। এখানে মন্ত্রীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের বিধায়ক আবাসে ঢোকার সময় গেটে আর্মরি বিভাগে অস্ত্র জমা রাখতে হবে। এই গোটা বিষয়টি বিধায়কদের নোটিশ মারফত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে সব বিধায়ক মন্ত্রী নন। আবার শাসকদলের বিধায়ক এবং বিরোধী দলেরও বিধায়ক রয়েছে। তাঁদের ক্ষেত্রে নিয়ম একই থাকছে। মন্ত্রীর ক্ষেত্রে কিছু নিয়মে পরিবর্তন আছে। যেমন মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী গেটে আর্মরি বিভাগে অস্ত্র জমা রাখতে পারবে। আর অপেক্ষা করতে পারবে।
১ জুলাই থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আর তাতে সই রয়েছে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিধানসভার ভেতরে যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রবেশ করতে পারবে না। তেমনি বিধায়ক আবাসেও ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী প্রবেশ করতে পারবে না। তবে কোনও বিধায়ক বা মন্ত্রী যখন আবাসে ঢুকবেন তখন তাঁদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরা অস্ত্র বহন করতে পারবেন না। অস্ত্র জমা দেওয়ার পর বিধায়কদের সঙ্গে একজন করে নিরাপত্তারক্ষী ঢুকতে পারবেন।
জানা গিয়েছে, অস্ত্র রাখার জন্য আবাসের বাইরে একটি আলমারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনও বিধায়ক বা মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বড় অস্ত্র থাকলে তা রাখতে হবে পার্কস্ট্রিট থানায়। এই বিষয়ে বিজেপির এক বিধায়ক প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে পদক্ষেপগুলি নিয়েছেন তা কি সংবিধানসম্মত? বিধায়কদের নিরাপত্তারক্ষী কেন দেওয়া হয়?