দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

ত্রিপল চুরি কাণ্ড – আগাম জামিন নাকচ শুভেন্দুর

July 2, 2021 | 2 min read

‘ভার্চুয়াল সারেন্ডার’ (Virtual Surrender) করেও আগাম জামিন পেলেন না শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী (Soumendu Adhikari)। কাঁথি পুরসভার (Kathi Municipal) গোডাউন থেকে ত্রিপল চুরির (Terpoline) ঘটনায় বৃহস্পতিবার কাঁথি এসিজেএম কোর্টে অভিযুক্তদের আইনজীবী তাঁদের ‘ভার্চুয়াল সারেন্ডার’ করান। কিন্তু ঘটনার তদন্তকারী অফিসার এবং সরকারি আইনজীবী ‘ভার্চুয়াল সারেন্ডার’ নিয়ে আপত্তি তোলেন। তার জেরে বিচারক দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য দু’জনের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। পুলিস সুপার অমরনাথ কে বলেন, দু’জন ভার্চুয়ালি সারেন্ডার করেছিলেন। এভাবে কোর্টে সারেন্ডার করে জামিনের আবেদন করা যায় না। আমাদের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হয়। শেষপর্যন্ত জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।


প্রসঙ্গত, গত ২৯মে কাঁথি পুরসভার গোডাউন থেকে ত্রিপল লোপাটের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরাও ছিলেন। কাঁথি পুরবোর্ডের সদস্য রত্নদীপ মান্না ওই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী, সৌমেন্দু অধিকারী এবং কাঁথি পুরসভার দুই কর্মী হিমাংশু মান্না এবং প্রতাপ দে-র বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেন। পুলিস প্রতাপ দে’কে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর থেকেই গাঢাকা দিয়েছেন হিমাংশু মান্না। ঘটনাস্থলে থাকা দুই সিআরপিএফ জওয়ানকে চিহ্নিত করে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠিয়েছিল পুলিস। কিন্তু, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সহযোগিতা করেননি। ওই ইউনিটকে কাঁথি থেকে দুর্গাপুরে বদলি করে দেওয়া হয়।

ত্রিপল চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়ি গত ১১জুন বাজেয়াপ্ত করেছিল কাঁথি থানার পুলিস। গাড়িটি ওই ঘটনায় অভিযুক্ত কাঁথি পুরসভার কর্মী হিমাংশু মান্নার এক আত্মীয়ের। তিনি কাঁথি এসিজেএম কোর্টে গাড়ি ফেরত চেয়ে আবেদন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার তার শুনানি ছিল। এদিনই অপর দুই অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারীর আগাম জামিনের আবেদন জমা পড়তে পারে বলে পুলিসের কাছে খবর ছিল। সেইমতো প্রস্তুতিও নিয়েছিল। 


এদিন আইনজীবী নির্মাল্য দাস অভিযুক্ত শুভেন্দুবাবু এবং সৌমেন্দুবাবুর জামিনের আবেদন করেন। সেই খবর পেয়ে কোর্টে চলে যান কাঁথি এসডিপিও সোমনাথ সাহা এবং থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস। শুরু হয় শুনানি। শুনানি চলাকালীন অভিযুক্তদের আইনজীবী কোর্টে জানান, তাঁর দুই মক্কেলকে জামিন দেওয়া হোক। প্রয়োজনে তাঁরা কোর্টে আত্মসমর্পণ করতেও প্রস্তুত। তখনই এসিজেএম ওই আইনজীবীকে তাঁর মক্কেলদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। নির্মাল্যবাবু তখন মোবাইল ফোনে দু’জনের ছবি দেখিয়ে ‘ভার্চুয়াল সারেন্ডার’ করা হল বলে উল্লেখ করেন। সরকারি আইনজীবী অরুণ দাস তার তীব্র বিরোধিতা করেন। কাঁথি থানার তদন্তকারী অফিসার সৌমেন গুহও তাঁর প্রতিবাদের কথা জানান। তাঁরা বলেন, ‘ভার্চুয়ালি সারেন্ডার’ করা যায় না। তারপর বিচারক অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#kathi, #tripol churi, #suvendu adhikari

আরো দেখুন