বিধানসভার হট্টগোল পরিকল্পনামাফিক, রাজ্যপাল-বিজেপিকে গেঁথে বিঁধলেন সুব্রত
দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশকের অভিজ্ঞতা তাঁর ঝুলিতে। প্রথমবার ১৯৭১ সালে বিধানসভায় পা রেখেছিলেন। এরপর ৫০ বছর পূর্ণ করে ২০২১-এ এসেও বিধানসভায় তাঁর উপস্থিতি রয়েছে। এহেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) শুক্রবার এক সূত্রে রাজ্যপাল-বিজেপিকে (BJP) গেঁথে বিঁধলেন বিধানসভার হট্টগোল প্রসঙ্গে। নিজের ৫০ বছরের সংসদীয় রাজনীতির জীবনে বিরোধীদের ওয়াকআউট করতে দেখলেও শুক্রবার যা হল, তা আগে দেখেননি বলে জানান এই বর্ষীয়ান নেতা। এদিন সুব্রতবাবু বিজেপির ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখে বলেন, ‘আজ যা হল তা আগে কখনও দেখিনি।’
সংবাদমাধ্যমকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা এর আগেও সভা কক্ষ থেকে বিরোধীদের বেরিয়ে যেতে দেখেছি। কিন্তু আজ যা হল তা আগে কখনও দেখেছি বলে মনে পরছে না। এটা প্রথমবার দেখলাম। যিনি পড়ছেন আর যাঁরা শুনছেন, দুই জনেই বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, এমনটা আগে দেখিনি।’
উল্লেখ্য, ভোটের পর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রথমদিনের অধিবেশন শেষ হয় মাত্র চার মিনিটেই। বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভের জেরে উদ্বোধনী বক্তব্য পাঠ করতে পারেননি রাজ্যপাল। প্রথাগত ভাবে নির্বাচনের পর যখন নতুন সরকার গঠিত হয়, তার পর যে অধিবেশন বসে, তা রাজ্যপালের ভাষণ দিয়েই শুরু হয়। সেই মতো শুক্রবার দুপুরে বিধানসভায় যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ভাষণ পড়তেও শুরু করেন তিনি। কিন্তু সেই সময় বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। প্রথমে তাঁরা আসনে বসেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে ওয়েলে নেমে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদের বিক্ষোভ মূলত ছিল ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে।
এই বিক্ষোভের জেরে রাজ্যপাল তাঁর পুরো ভাষণ পাঠ করতেই পারেননি। মাত্র চার মিনিটেই শেষ করে দেন ভাষণ। তার পর এই ভাষণ অনুমোদনের কথা বলে বিধানসভা ছেড়ে চলে যান রাজ্যপাল। রাজনৈতিক মহল অনুমান করেছিল যে এবার হয়তো রাজ্যপাল বিধানসভায় রাজ্য সরকারের দেওয়া ভাষণ পাঠ করবেন না। তবে দেখা গেল রাজ্যপাল বিধানসভায় এলেন। ভাষণ পড়াও শুরু করলেন। ভাষণ পড়তে দেওয়াই হল না বিজেপির তরফে। আর এই পুরো বিষয়টি পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হয়েছে বলেই ইঙ্গিত করলেন সুব্রতবাবু। যাতে রাজ্যপালকে এই ভাষণ পাঠ করতে না হয়।