বর্ষার পরেই রাজ্যের সব রাস্তা মেরামত, প্রস্তুতি নিচ্ছে নবান্ন
পূর্তদপ্তরের (Public Works Department) অধীনে থাকা রাস্তাগুলি চলাচলের যোগ্য করে তুলতে জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠিয়েছে নবান্ন। বর্ষায় কোন কোন রাস্তা (Road) খারাপ হয়েছে, সেই সমীক্ষা করতে বলা হয়েছে। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় সেখানেও পূর্তদপ্তরকে কন্ট্রোল রুম খুলে নজর রাখতে বলা হয়েছে। বর্ষা চলে গেলেই রাস্তাগুলি মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বর্ষায় জল জমায় অনেক রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে গর্ত তৈরি হয়ে যায়। জমা জলই বিটুমিনের ক্ষতি করে। ইতিমধ্যেই সব জেলায় পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে এই নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে পূর্তদপ্তরের অধীনে রয়েছে ২০ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ও প্রায় ৪০০টি ব্রিজ বা উড়ালপুল। সম্প্রতি রাজ্যের সব রাস্তার হাল-হকিকত জানতে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক। সেই বৈঠকে পূর্তসচিব নবীন প্রকাশ, সব বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, জেলার সুপারিনটেন্ডিং এবং এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়াররা ছিলেন। সেখানে রাজ্যের সব রাস্তার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। যে সব রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন ঠিকাদাররা, তাঁদের সতর্ক করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী, রাস্তার বরাত পেলে তার সঙ্গে তিন বা পাঁচ বছরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও থাকে ওই ঠিকাদারি সংস্থার। বর্তমানে এমন রাস্তার দৈর্ঘ্য হবে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার।
সম্প্রতি জাতীয় সড়কের কাজের অগ্রগতি নিয়েও পূর্তদপ্তরে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কয়েকটি জাতীয় সড়কে কাজের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে জমি। সেখানে জমির ব্যবস্থা করতে পূর্তদপ্তরের পক্ষ থেকে জেলাশাসকদের অনুরোধ করা হয়েছে। জাতীয় সড়কের জমি জট কাটাতে বিভিন্ন জেলাশাসক ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন পূর্তসচিব নবীন প্রকাশ। বৈঠকে ডালখোলায় জমির সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়। সেই সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যত্র যেখানে জমি জট রয়েছে, সেখানে আলোচনা শুরু করতে বলা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের অবস্থান হল, জমি কখনই অধিগ্রহণ হবে না। আলোচনা করেই জমি কিনে নেবে সরকার।