দেবাঞ্জনের বাড়িতে পাওয়া গেল বিএসএফের ব্যাজ ও পোশাক
অন্য মাত্রা নিতে চলেছে কসবার (Kasba) ভুয়ো ভ্যাকসিন (Fake Vaccine) কাণ্ড। কারণ, তল্লাশি চালানোর সময় দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) মাদুরদহের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিএসএফের ব্যাজ ও পোশাক। আধাসামরিক বাহিনীর পোশাক ও ব্যাজ দেখিয়ে এই ভুয়ো আইএএস কোথাও প্রতারণা করেছিলেন কি না, সেটাই এখন চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পুলিসের কপালে। উর্দি উদ্ধারের ঘটনায় প্রয়োজনে তদন্ত করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এই বিষয়ে কলকাতা পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তারা। এরই মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় দেবাঞ্জনের মাদুরদহের বাড়িতে ফের তল্লাশি চালায় পুলিস। উদ্ধার হয় জাল নিয়োগপত্র, টেন্ডারের ভুয়ো কপি, হাজিরা খাতা সহ বেশ কিছু নথিপত্র।
গোটা ঘটনার তদন্তে ‘থ্রি-ডি স্ক্যানার’ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে পুলিস জানিয়েছে।তবে শুধু কলকাতা নয়, দেবাঞ্জনের প্রতারণার জাল বিস্তৃত ছিল উত্তরবঙ্গেও। জিটিএ’র ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অন্তত ১০ জন ঠিকাদারের থেকে দেবাঞ্জন মোটা টাকা তুলেছিল বলে অভিযোগ করেছেন শিলিগুড়ির আইনজীবী অত্রি শর্মা। শিলিগুড়িতে মৈনাক ট্যুরিস্ট লজে ঘর ভাড়া নিয়ে এই বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে কলকাতা পুলিসের ‘সিট’ বা বিশেষ তদন্তকারী দলকে শিলিগুড়িতেও যেতে হতে পারে।
জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডে শুক্রবার রাতে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের সামনে থেকে ইন্দ্রজিৎ সাউ নামে দেবাঞ্জনের এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। অভিযোগ, আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজে জাল ভ্যাকসিন ক্যাম্পের অন্যতম উদ্যোক্তা ট্যাংরা রোডের এই বাসিন্দা। শনিবার দুপুরে তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়েছিল। ৯ জুলাই পর্যন্ত তাকে পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার কলকাতা শহরের ঐতিহ্যবাহী কয়েকটি এলাকায় প্ল্যাকার্ড হাতে নীরব প্রতিবাদ জানায় একদল বিজেপি কর্মী-সমর্থক। কালীঘাট মন্দির, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, নেতাজি ভবন, বিড়লা তারামণ্ডল, ন্যাশনাল লাইব্রেরি, আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে এই প্রতিবাদ হয়।