সোমবার বেসরকারি বাস মালিকদের সাথে বৈঠকে ফিরহাদ
১ জুলাই থেকে রাজ্যে গণ পরিবহণ মাধ্যমগুলি ফের রাস্তায় নামার ছাড়পত্র পেয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিষেবায় যুক্ত বেসরকারি বাস (Private Bus) এখনও সেভাবে পথে নামেনি। ফলে শহর থেকে জেলায় যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়ে চলেছে। বেসরকারি বাসকে সচল করতে এবার উদ্যোগী হলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভায় বিষয়টি নিয়ে তিনি ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার সঙ্গে কথা বলেন। উল্লেখ্য, স্বর্ণকমলবাবু বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সভাপতি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী কাল, সোমবার, দুপুরে পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম স্বর্ণকমলবাবুর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, বেসরকারি বাস মালিকদের সঙ্গে আগামী কাল আলোচনায় বসব। এভাবে বাস না চালালে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে রাজ্য সরকার। তবে বাস মালিকদের সমস্যার কথাও স্বীকার করেছেন স্বর্ণকমলবাবু। তাঁর কথায়, বাস ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেই সরকারের বিভিন্ন কর, পারমিট-ফি জমা করেন। যে কোনও ব্যবসায়ী মুনাফার লক্ষ্যে পরিশ্রম করেন। কিন্তু ২০২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ডিজেল লিটার প্রতি ৩০ টাকা বেড়েছে। ফলে অবিলম্বে ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই বলে মনে করেন শাসকদলের এই বিধায়ক। জানা গিয়েছে, শনিবার রাত পর্যন্ত আর কোনও বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনকে সোমবারের বৈঠকে জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত বছর থেকেই সরকারের হুমকি শুনে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু তাতে যাত্রী পরিষেবার কোনও উন্নতি হয়নি। বাস রাস্তায় নামাতে গেলে অবিলম্বে ভাড়া বৃদ্ধি এবং আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। তাছাড়া যাত্রী পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়া অসম্ভব। একই সুরে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্য না আসা পর্যন্ত রাস্তায় বেসরকারি বাস নামবে না। আমরা কাউকে জোর করে পরিষেবা দিতে কিংবা বন্ধ করতে বলছি না। তবে যাঁরা বাস নামাচ্ছেন, তাঁরা বেআইনিভাবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলেও দাবি করেন রাহুলবাবু।