তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ তৃণমূল
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার অপসারণ দাবি করে আজ, সোমবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে যায় তৃণমূল। রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে এবং আবেদন করে। তুষার মেহতার অপসারণ ছাড়াও রাজ্যপালের জগদীপ ধনখড়ের ভূমিকা নিয়েও রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এরপর সাংবাদিক বৈঠক করেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ও মহুয়া মৈত্র।
রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে আগেই রাষ্ট্রপতিকে তৃণমূলের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপালের এ নিয়ে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সলিসিটর জেনারেলের বাসভবনে যাওয়ার পর থেকেই তুষার মেহতার অপসারণের দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল। নারদ মামলায় শুভেন্দুর নাম জড়িয়ে রয়েছে। সিবিআই এই মামলায় তদন্তকারী সংস্থা। তুষার মেহতা এই মামলায় সিবিআই-র হয়ে সওয়াল করেছেন। সেই তুষার মেহতার বাসভবনে শুভেন্দু কী করতে গিয়েছিলেন এই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল (TMC)।
এই ইস্যুতে এ দিনও সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। একাধিক যুক্তি তুলে ধরে টুইটে ডেরেক অভিযোগ করেছেন, তুষারের বাসভবনে শুভেন্দুর যাওয়া ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’। সরকারি আইনজীবীদের সার্ভিস রুলের নিয়ম তুলে ধরে তিনি দেখিয়েছেন, কোনও সরকারি আইনজীবী এই ভাবে কাউকে পরামর্শ দিতে পারেন না। সরকারি আইনজীবীদের যে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হয়, একই নিরপেক্ষতা সলিসিটর জেনারেলকে বজায় রাখতে হয় বলে এ বিষয়ে অতীতে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশকেও তুলে ধরেছেন ডেরেক।
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইট করেছেন। লিখেছেন, ৭২ ঘন্টা কেটে গেছে কিন্তু এখনও নিজের যুক্তি প্রমাণ করতে এসজি জেনারেল নিজের বাড়ির ২০ মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজ দিতে পারেননি।
যদিও তুষার মেহতা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়নি। কিন্তু এই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল। যেহেতু রাষ্ট্রপতি সলিসিটর জেনারেলকে নিয়োগ করেন, তাই তাঁর কাছেও অভিযোগ জানালো তৃণমূল।