অপসারিত হতে পারেন জেনেই সৌমিত্রর হোয়াটস্যাপ ডিপিতে দিলীপ ও কুণাল?
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) গতকাল নিশানা করেছিলেন সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। ঘণ্টা পাঁচেক পর প্রত্যাহার করে নেন ইস্তফা। ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সৌমিত্রর হোয়াটসঅ্যাপের ডিপিতে জ্বলজ্বল করছিলেন ভিন্ন শিবিরের দুই ঘোষ- একজন দিলীপ (Dilip Ghosh), অন্যজন কুণাল (Kunal Ghosh)।
নামের শেষে ঘোষ। অথচ তাঁরা দু’জনে ভিন্ন শিবিরের। পরস্পরকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েন না। এহেন দুই ঘোষকে মিলিয়ে দিয়েছে সামাজিক অনুষ্ঠান। দিন কয়েক আগে বিয়েবাড়ির নেমন্তন্ন রক্ষা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানে পরস্পরকে দেখে কুশল বিনিময় করেন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন। সেই সব ছবি ভাইরাল হয় নেটমাধ্যমে। তেমনই একটি ছবিকে এ দিন হোয়াটসঅ্যাপে ডিপি করেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। দিলীপ-কুণাল সৌজন্য নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন নীচুস্তরে কর্মীরা। সেই পথেই কি রাজ্য সভাপতিকে কাঠগড়ায় তুললেন সৌমিত্র খাঁ? বোঝাতে চাইলেন, দলের কর্মীরা যখন লড়াই করছেন তখন উপরতলায় সখ্যতা! খবরটি সামনে আসার পর যদিও ডিপি বদলে দেন বিজেপি সাংসদ।
বুধবার সাড়ে ৯ মিনিটের ফেসবুক লাইভে আগাগোড়া শুভেন্দুকে আক্রমণ শানান সৌমিত্র। তিনি বলেছিলেন, ‘এক নেতা এসেছেন, যিনি বলছেন তাঁর নেতৃত্বে সব কিছু হয়েছে। এই যিনি বিধানসভার দলনেতা হয়েছেন তিনি নিজেকে জাহির করছেন, দলকে নয়। যেভাবে চলছে তাতে যুবমোর্চার সভাপতি হিসেবে লড়াই করা মুশকিল হয়ে উঠছে। তিনি দিল্লি যাচ্ছেন বারবার। নেতাদের ভুল বুঝিয়ে প্রমাণ করতে চাইছেন তিনিই সবচেয়ে বড় নেতা। তিনি একসময় তৃণমূলেও নিজেকে বড় নেতা দেখিয়েছেন।’ দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেছিলেন, ‘সভাপতিকে বললেও অর্ধেকটা বোঝেন, অর্ধেকটা বোঝেন না। বাংলা বিজেপি যেভাবে চলছে, তাতে ভালো কিছু হবে না।’ তার পর দিলীপ ঘোষ প্রতিক্রিয়া দেন, ‘হয়তো মন্ত্রীর লাইনে ছিলেন, পাননি। হতাশা থেকে বলেছেন। কষ্ট পাওয়া স্বাভাবিক। পার্টিটা ক্ষমতা পাওয়ার লঞ্চিং প্যাড নয়।’
সূত্রের খবর, এবার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কোনও নেতা রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি হতে পারেন। তাই অপসারিত হওয়ার আগে রাজ্য সভাপতিকে নিয়ে এই ব্যঙ্গ।