নেটমাধ্যমে ভাইরাল ‘বাবাকে বলো’, নিরাপত্তাকর্মীর পরিচয়ে জবাব দিলেন শিশির?
আচমকা নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠেছে ‘বাবাকে বলো’ (Baba Ke Bolo)৷ কাঁথির সাংসদ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) ছবি ও ফোন নম্বর দিয়ে এই মিম ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাই দেখে এক সাংবাদিক ফোন করেছিলেন নম্বরে। ফোনটি ধরেন এক ব্যক্তি। কণ্ঠস্বরটি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারীর মতো হলেও সেই ব্যক্তি নিজের পরিচয় দেন শিশিরবাবুর নিরাপত্তারক্ষী বলে। কিন্তু কথা বলতে বলতে উত্তেজনার বশে তিনি বলে ফেলেন, তিনিই শিশির অধিকারী। পরে অবশ্য নিজের নাম তিনি বলেছেন ইমরান আলি।
এই ‘বাবাকে বলো’ নিয়ে ফোনের ওপারের ব্যক্তি যে বেজায় ক্ষুব্ধ তা তাঁর কথা থেকেই বোঝা গিয়েছে। এমন ভাষা তিনি প্রয়োগ করেছেন, যা ছাপার অযোগ্য। যদিও এই অডিও ক্লিপটির সত্যতা যাচাই করেনি ‘দৃষ্টিভঙ্গী । তবে এই অডিও ক্লিপটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
প্রথম থেকেই নিজেকে নিরাপত্তারক্ষী বলে পরিচয় দেওয়া এই ব্যক্তি ‘বাবাকে বলো’ বিষয়টি একটি প্রতারণা বলে দাবি করতে থাকেন। এটি তৃণমূলের কারসাজি বলেও তাঁর অভিযোগ। আর এখানেই তিনি বলে ফেলেন, “আমার আর শুভেন্দুর ছবি দিয়ে এসব করছে”। আরে, এই যে উনি বললেন, উনি শিশিরবাবুর নিরাপত্তারক্ষী; তাহলে! প্রশ্ন আরও আছে।
এখন প্রশ্ন হল, এই ব্যক্তি যদি শিশিরবাবুর নিরাপত্তারক্ষীই হয়ে থাকেন, তাহলে বিজেপি বা অধিকারী পরিবার এই ‘বাবাকে বলো’ নিয়ে কী করবে সে বিষয়ে তিনি বলার কে? এ নিয়ে তাঁর এত উষ্মা কীসের? তাঁদের হয়ে তিনি গলা ফাটাচ্ছেন কী হিসেবে? আর তিনি যদি শিশিরবাবুরই কথা বলে থাকেন, তাহলে একজন সাংবাদিকের কাছে নিজের পরিচয় গোপন করে কথা বললেন কেন তিনি?
রাজনৈতিক মহলের খবর, ‘বাবাকে বলো’ নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি (BJP)। বিভিন্ন ধরনের মিম ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাতেই পারদ চড়ছে কাঁথির অধিকারী পরিবারের। তাহলে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করছেন না কেন? এই বিষয়ে অবশ্য ফোনে নিজেকে শিশিরবাবুর নিরাপত্তারক্ষী বলে পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি জানান, “এ সমস্ত তৃণমূলের কারসাজি”। এমনকী, কার কারসাজি সেটাও তিনি জানেন। কিন্তু তাঁর নাম তিনি বলেননি। তাঁর উদ্দেশ্যে একটি ছাপার অযোগ্য ভাষায় গালাগালি তিনি দেন। এ বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানো হবে কিনা এই সেটা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি।
বিব্রত হয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশিরবাবুর ছেলে তথা তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী৷ তাঁর অভিযোগ, তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর ছবি দিয়ে ফেসবুকে ‘বাবাকে বলো’ লেখা একটি লোগো ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এমনকী সেখানে শিশিরবাবুর মোবাইল নম্বরও দেওয়া রয়েছে৷ তার জেরে অনেকেই প্রবীণ সাংসদকে ফোন করছেন৷ সুতরাং ফোন করে কাঁথির সাংসদকে বিরক্ত করাহচ্ছে৷ তাতে এই বয়সে মানসিক উদ্বেগ এবং যন্ত্রণার শিকার হচ্ছেন বলেও চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে৷