নির্বাচন ঘিরে উত্তরপ্রদেশের জেলায় জেলায় বেলাগাম রাজনৈতিক হিংসা
জেলায় জেলায় মারদাঙ্গা। ব্লক সভাপতি পদের নির্বাচন ঘিরে বেলাগাম হিংসা। মনোনয়ন পেশে বাধা, সংঘর্ষ। উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে তুলোধোনা করল বিরোধীরা। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের বিজেপি সরকারকে একযোগে আক্রমণ করলেন বিরোধীরা। যোগী সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন বিএসপি, কংগ্রেস।
পাশাপাশি, যোগী সরকারের নিন্দায় সরব হয়েছেন ৮৭ জন প্রাক্তন আমলা। তাঁদের অভিযোগ, যোগীর আমলে রাজ্যের শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আইনের শাসন নেই। এই মর্মে ওই ৮৭ জন আমলা খোলা চিঠি দিয়েছেন। এরই মধ্যে পঞ্চায়েত ভোটে যোগীর জয়জয়কার চলছেই। বিরোধীদের একেবারে ধরাশায়ী করে দিয়েছে বিজেপি।
মনোনয়ন পেশ ঘিরে উত্তরপ্রদেশজুড়ে তুমুল হিংসার ঘটনা তুলে ধরতে এদিন সংবাদপত্রের একটি রিপোর্ট পোস্ট করেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতার ট্যুইট, উত্তরপ্রদেশে হিংসার নাম বদলে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ করা উচিত। বিজেপি সরকারের সমালোচনায় সরব হন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। মনোনয়ন পেশের সময় এক মহিলাকে বাধাদান ও হেনস্তার ঘটনার নিন্দা করেন তিনি। ট্যুইটার হ্যান্ডলে ওই ঘটনার ভিডিও ক্লিপও শেয়ার করেন প্রিয়াঙ্কা। সোনিয়া-কন্যার ট্যুইট, কয়েক বছর আগে ধর্ষণের শিকার হওয়া মহিলা বিজেপির এক বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সেজন্য সপরিবারে তাঁকে খুনের চেষ্টা হয়েছিল। আজ এক মহিলাকে মনোনয়ন পেশে বাধা দেওয়া হল। বিজেপি সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে।
রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনায় বিজেপিকে একহাত নেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীও। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা ও লাখিমপুর খেরি জেলায় মনোনয়ন পেশ ঘিরে মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের তীব্র নিন্দা করেন মায়াবতী। তাঁর প্রশ্ন, এটাই কি বিজেপির আইনের শাসন? দলিতদের বাড়িতে ভাঙচুর চলছে। এটাই কি দলিতদের প্রতি ওদের ভালোবাসা