লকডাউনে শিল্পীদের দুরাবস্থা, কী বললেন রূপম
দেশে লকডাউনের (Lockdown) বর্ষপূর্তিও হয়ে গেছে। বার বার উঠে এসেছে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের কথা। কাজ বন্ধ থাকায় তারা কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন? নুন আনতে পান্তা ফুরোচ্ছে। উঠে এসেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা, ব্যবসায়ী, অটো- বাস চালক সবার কথা। কিন্তু শিল্পীদের জীবন সংগ্রামের কথা বিস্মৃত। এই লকডাউনে কেমন আছেন শিল্পীরা? যারা এতো বছর ধরে আমদের আনন্দে দুঃখে আমাদের সঙ্গ দিয়েছেন। এই টানা লকডাউনে যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ সেখানে কীভাবে চলছে শিল্পীদের সংসার?
দৃষ্টিভঙ্গি কথা বলেছিল গায়ক রূপম ইসলামের (Rupam Islam) সাথে। রূপম শোনালেন শিল্পীদের ঘরের গল্প।
রূপম জানালেন বাঁচার তাগিদেই তিনি বিকল্প খুঁজেছেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে শুরু করেছেন ‘রূপম ইসলাম একক’ অনুষ্ঠান। সরকার মিটিং মিছিল করলেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি দিচ্ছেন না এই প্রশ্নের জবাবে রূপম জানান, ‘আমি যেই ব্যান্ডে কাজ করি সেই ব্যান্ডের সদস্যরা অত্যন্ত সতর্ক। সরকার ছেড়ে দিতেও পারে তারপরেও এই মুহুর্তে অনুষ্ঠান করতে তারা রাজী হবেন কী না এই নিয়ে আমার সংশয় আছে। আমরা সবাই যখন রাজী হব তখন করব।’ রূপম আরও বলেন, যেসব যন্ত্রীরা খুব বেশি রোজগার করেন না তাদের জন্যে কিছু করা উচিৎ। আমি আগের বছরও তাদের খানিকটা সাহায্য করেছিলাম। আরেকবার করার সম্ভবনা তৈরি হলে আমার ভালো লাগবে। রূপম বলেন, ‘আমাদের ব্যান্ডে উপার্জনের দিক থেকে সবাই সমান। আমি যন্ত্রীদের গুরুত্ব দিই। কিন্তু বেশিরভাগ শিল্পী সেটা করেন না। সেই জন্যেই এই দুরাবস্থা।যারা গান করেন তাদের একটু ভাববার অনুরোধ করছি।’
‘রূপম পাক্ষিক’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে রূপম বলেন, ‘এটা আমার ক্ষিদে। আন্তর্জাতিক স্তরে এই রকম অনলাইন ক্লাবের আয়োজন করা হয়। দুটো অনষ্ঠান হলে বুঝতে পারব আমি কতোটা সফল।এই অনুষ্ঠানের দুটো ভাগ। আলোক দশা এবং অন্ধকার দশা। দুঃখের গানও মানুষ হৈ হৈ করে গান। আলো জ্বলে ওঠে তাই আলোক দশা। আর অন্ধকার দশায় ডার্ক এলিমেন্ট নিয়ে আলোচনা করব।’
দেখে নিন পুরো ভিডিও-