পছন্দের রাষ্ট্রপতিকে জেতাতে এবারও বিজেপিকে নির্ভর করতে হবে শরিকদের উপর
আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন শুধুমাত্র ২০২৪ সালের মহড়া হিসেবে দেখছে না বিজেপি। এই নির্বাচনের উপর অনেকটাই নির্ভর করবে বিজেপির পছন্দের রাষ্ট্রপতি এবং উপ-রাষ্ট্রপতির প্রার্থীকে দাঁড় করানোর বিষয়টি। পাশাপাশি শরিকদের সাথেও সমীকরণ ভালো রাখতে হবে বিজেপিকে। কারণ বর্তমানে বিজেপির হাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জেতার জন্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যা নেই।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯০৩টি ভোটের মধ্যে বিজেপির (bjp) কাছে রয়েছে কেবল মাত্র ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ১০২ ভোট। যদিও এই নির্বাচনে জিততে প্রয়োজন ৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৫২টি ভোট। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন সাংসদ এবং বিধায়করা। তাঁদের এলাকার জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে তাঁদের এক একটি ভোটের মূল্য নির্ধারণ হয়। সাংসদদের এক একটি ভোট সাধারণত ৭০৮ মূল্যের। এদিকে বিধায়কদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মূল্য ধারণ করেন উত্তরপ্রদেশের বিধায়ক। সেই সর্বোচ্চ মূল্য হল ২০৮।
আগামী বছরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (president election) আগে বিজেপি দুটি বড় নির্বাচনী পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। একটি উত্তরপ্রদেশে অপরটি পঞ্জাবে। উত্তরপ্রদেশে বর্তমানে বিজেপির মোট ৩০৫টি আসন রয়েছে। এর অর্থ ভোটের নিরিখে এর মূল্য ৬৩ হাজার ৪৪০। অপরদিকে পঞ্জাবে গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক সংখ্যা মাত্র ২। এদিকে উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মণিপুর এই নির্বাচনের প্রেক্ষিতে খুব একটা বড় প্রভআব ফেলবে না।
এদিকে বিধানসভা বাদ দিয়ে রাজ্যসভআর বেশ কয়েকটি আশনে নির্বাচন রয়েছে আগামী বছর। সেখানে যদি বিজেপি ভালো ফল করতে পারে তাহলে তাঁদের অনেক ভোট আশবে। এখন থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত রাজ্যসভার মোট ৪১টি আসনে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে ছটি আসন মনোনয়নের ভিত্তিতে পূর্ণ করা হবে। তাছাড়া অসম, ত্রিপুরা, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং ছত্তিশগড়ের থেকে রাজ্যসভা আশনের জন্যে নির্বাচন হবে।
পঞ্জাবে বিজেপি ভালো করার আশা করছে না। এই আবহে গেরুয়া শিবিরের ফোকাস পুরোপুরি উত্তরপ্রদেশে। এদিকে রাজ্যসভায় বিজেপি একক বৃহত্তম দল হলেও তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। এই কারণে বিজেপিকে শরিক দলের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। বর্তমানে রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৯৪। বাকি ৩৫টি আসনের নির্বাচনের বেশ কয়েকটিতে তারা ভালো ফল করার আশা করছে। তবে ১২৩-এর ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারবে বলে মনে করছে না বিজেপির অন্দর মহলও।
এই আবহে সম্প্রতি মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সময় শরিক দলকে গুরুত্ব দিয়েছে বিজেপি। আগেভাগে তাদের মন জয় করাই লক্ষ্য। এদিকে এনডিএ বাদেও আরও বেশ কয়েকটি দলের সাহায্য প্রয়োজন পড়ে বিজেপি। ওয়াইএসআরসিপি, বিজু জনতা দল, এআইএডিএমকের মতো দলের দিকেও চেয়ে থাকতে হয় বিজেপিকে।