হারের পরেই ইতালিয়ান সমর্থকদের ওপর হামলা ইংল্যান্ডের ফুটবল গুন্ডাদের
ফের বিতর্কে জড়ালেন ইংল্যান্ডের (England) সমর্থকরা। ইটালি (Italy) সমর্থকদের উদ্দেশে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা থেকে শুরু করে তাঁদের উপর হামলার মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, ইটালির জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগও উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
রবিবার মধ্যরাতে ইউরো ফাইনালে আশা জাগিয়েও ইটালির কাছে পেনাল্টি শুটআউটে হেরে যায় গ্যারেথ সাউথগেটের দল। এরপরই সেই হার হজম করতে না পেরে কার্যত তাণ্ডব শুরু করেন ইংরেজ সমর্থকরা। স্টেডিয়াম থেকে বেরনোর পরই ইটালির সমর্থকদের উপর চড়াও হয় তাঁরা। বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য থেকে শুরু করে মারধরের ঘটনাও ঘটে। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, এক ইংরেজ সমর্থক ইটালির পতাকাতে থুতুও ছেটাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ফুটবল মহল এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদও করেছে।
যদিও এদিন ম্যাচ শুরুর আগেই হাজারে হাজারে ইংরেজ সমর্থক কার্যত তাণ্ডব চালান লন্ডনের রাস্তায়। সেমিফাইনালে ডেনমার্কের বিরুদ্ধেও ন্যক্কারজনক কান্ড ঘটিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের সমর্থকরা। ড্যানিশ গোলকিপার ক্যাসপার স্কিমিচেলের মুখে লেজার রশ্মি ফেলে মনোসংযোগে বিঘ্ন ঘটাতে চেষ্টা করেন তাঁরা। ডেনমার্কের জাতীয় সংগীতকেও ব্যঙ্গ করা হয়। গ্যালারিতে আতশবাজি জ্বালানো হয়। তারপরেই উয়েফার পক্ষ থেকে জরিমানা করা হয় ইংল্যান্ডকে। এরপর সাউথগেট দলের সমর্থকদের সংযত হওয়ার বার্তা দিয়ে বিপক্ষ দলের জাতীয় সংগীতকে ব্যঙ্গ করতে নিষেধ করেন। যদিও তাতে থেমে থাকেনি ইংরেজ সমর্থকরা। ফাইনালেও ইটালির জাতীয় সংগীতের সময় একই ঘটনা ঘটিয়েছেন তাঁরা। এছাড়া টিকিট হাতে না থাকা ইংল্যান্ড সমর্থকরা কাতারে কাতারে ওয়েম্বলির বাইরে জড়ো হয়ে জোরপূর্বক স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করে। বাধাপ্রাপ্ত হয়ে শয়ে শয়ে বিয়ারের বোতল ছুঁড়তেও দেখা যায় তাঁদের। কয়েকশো মদ্যপ সমর্থক স্টেডিয়ামের বাইরে বাসে উঠে তাণ্ডব চালায়। শেষপর্যন্ত স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বিশৃঙ্খল জনতাকে বাগে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনীও নামাতে হয়। এদিকে, ইতিমধ্যে ঘটনার নিন্দা করা করেছে ইংল্যান্ড ফুটবল সংস্থা। এখন দেখার এই ঘটনার জন্য উয়েফা কী ব্যবস্থা নেয়।