পার্ক হোটেল কাণ্ড – ফ্লোর ম্যানেজার, ডিজেকে তলব গোয়েন্দাদের
পার্ক হোটেলের (Park Hotel) ঘটনায় এবার ফ্লোর ম্যানেজারদের তলব করল লালবাজার (Lalbazaar)। করোনা বিধি লঙ্ঘন করে শহরে দিনের পর দিন অভিজাত এই পাঁচ তারা হোটেলে পার্টির (Park Street Party Follow Up) অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণেই এই তলব বলে সূত্রের খবর। ডাকা হয়েছে ডিজে সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত ও খাদ্য-পানীয় পরিবেশনের সঙ্গে যুক্ত হোটেল কর্মীদেরও।
সোমবার বিকালেই খবর মেলে, পার্কস্ট্রিটের পাঁচ তারা হোটেলের ম্যানেজমেন্টকে এবার তলব করা হতে পারে। গত শনিবার ওই হোটেলের তিন ও চার তলা থেকে ৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। করোনা বিধি লঙ্ঘন করে ডিজে বাজিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত পার্টি করছিলেন তাঁরা। এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ। কীভাবে শহরের বুকেই এভাবে বিধিনিষেধকে উপেক্ষা করে পার্টি চলত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এফআইআর-এ নাম রয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষের। তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, শুধু গত শনিবারই নয়, কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই ভাবে রাতে পার্টি চলছিল ওই হোটেলে। সোমবার হোটেলে যান লালবাজারে গুন্ডা দমন শাখার কর্তারা। তাঁদের হাতে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে পার্ক হোটেলের পার্টিতে (Park Hotel Party) কি মাদকের (Drug) ব্যবহারও হয়েছে? সেই নিয়েও তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। পার্টির ধরন থেকেই এই প্রশ্ন উঠেছে গোয়েন্দাদের মনে। তাহলে কি শনিবারের এই নৈশ পার্টিতে ইয়াবা ট্যাবলেট জাতীয় মাদকের ব্যবহার হয়েছে? এই প্রশ্ন উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারী অফিসারেরা। কারণ ঘটনাস্থল থেকে গাঁজা পাওয়া গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে গত দু তিন বছরের ট্রাডিশন যা রয়েছে, তাতে এই ধরনের পার্টিতে ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরইমধ্যে শনিবার রাতে পার্ক হোটেলের পার্টি (Park Hotel Party) নিয়ে কলকাতা পুলিসের থেকে বিস্তারিত তথ্য নিল আফগারি দফতর। ওই রাতে মাদক কোথা থেকে এসেছে তা নিয়েও খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
হোটেল ম্যানেজমেন্টকে বুধবার দিন লালবাজারে হাজিরার নির্দেশ দিয়ে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। ওই দিন হোটেলে কর্তব্যরত ফ্লোর ম্যানেজারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ডিজে সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত ও খাদ্য-পানীয় পরিবেশনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, সেই হোটেল কর্মীদেরও ডেকে পাঠানো হয়েছে। এরইমধ্যে পার্ক হোটেলের ওই ঘটনার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। কারা এই ধরনের পার্টি চালাচ্ছে, তা জানতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে মহিলাদের নামে ঘর ভাড়া নেওয়া হত ওই হোটেলে। মদ-গাঁজার আসর বসত, চলত দেদার সেক্স র্যাকেট সেই বিষয়টিও এবার খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।