বিশ্ববাংলার গামছা পরে রথ টানলেন পুরীর মন্দিরের সেবায়েতরা
পুরীর রথেও জুড়ে গেল বিশ্ববাংলা। বিশ্ববাংলার (Biswa Bangla) লোগো দেওয়া বাংলার তাঁতিদের হাতে বোনা সুতির গামছা গায়ে জড়িয়ে এ বার রথ টানলেন পুরীর মন্দিদের পুরোহিত, দৈতাপতি এবং পান্ডারা। কিছুদিন আগেই কলকাতা থেকে কুরিয়ারে গামছা পাঠানো হয়েছে পুরীতে। উদ্যোক্তা উত্তর কলকাতার তৃণমূল নেতা তথা আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত।
করোনার কারণে গত বছরের মতো এ বারও পুরীর রথযাত্রায় (Puri Ratha Jatra 2021) বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ। সরকারি ছাড়পত্র নিয়ে কেবল পুরীর মন্দিরের পুরোহিত, দৈতাপতি এবং পান্ডারা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। আর তাঁদেরই দেখা গেল বিশ্ববাংলার গামছা পরে রথ টানতে।
অনিন্দ্য বাবু জানান, বিশ্ববাংলার লোগো বসানো ১০০টি গামছা পাঠানো হয়েছে। যাঁরা রথ টানার দায়িত্বে ছিলেন, মূলত তাঁদেরই এই গামছা উপহার দেওয়া হয়েছে। ৫৯৯ টাকা করে প্রতিটি গামছা কিনেছেন অনিন্দ্য। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলার শিল্পকে ছড়িয়ে দিতে বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ড তৈরি করেছেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরীর রথযাত্রা একটি আন্তর্জাতিক মিলন উৎসব। সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এ জন্য অপেক্ষা করেন। গামছার মাধ্যমে সেখান থেকে বিশ্ববাংলার প্রচার হবে। বাংলার গরিমা বাড়বে।’
পুরী মন্দিরের পুরোহিত (সিংহারি সেবায়েত) বিজয়কৃষ্ণ সিংহারি জানান, ‘দীর্ঘদিনের প্রথা অনুযায়ী, যাঁরা জগন্নাথ, সুভদ্রা অথবা বলভদ্রের রথ টানেন, তাঁদের নতুন বস্ত্র পরতে হয়। আমি কলকাতায় গিয়ে দেখেছিলাম, বিশ্ববাংলা-র গামছাগুলো বেশ সুন্দর। বিশ্ববাংলার গামছা গায়ে দিয়েই আমরা এ বার রথ টেনেছি।’