রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

স্বাস্থ্যভবনের হেল্পলাইনে সাহায্য পেলেন ২০ লক্ষ মানুষ

July 14, 2021 | 2 min read

কোভিড পর্বে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষকে পরিষেবা দিল হেল্পলাইন (Help Line) নম্বরটি। করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ পর্বের সওয়া এক বছরে এই বিপুল পরিমাণ মানুষের রোগ সংক্রান্ত নানা দরকারে পাশে থেকেছে হেল্পলাইন নম্বরটি। মঙ্গলবারের কোভিড (Covid19) বুলেটিন থেকে জানা গিয়েছে, এই নম্বরটির মাধ্যমে ১৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪০৬ জনের এই রোগ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার জানা গিয়েছে আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়, মোট দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার হিসেবে যেমন বাংলা দেশে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে, তেমনই প্রথম ডোজ পাওয়া মানুষের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার হারে বাংলা এখন কেরলের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে। প্রথম ডোজ দেওয়া মানুষদের ৩৭ শতাংশকে দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও অন্ধপ্রদেশ।

এদিকে, একপায়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়ে তাক লাগালেন করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজে যুক্ত শামিমা ঘোষ নামে এক মহিলা। বেলেঘাটার সরকার বাগানের বাসিন্দা ওই মহিলা একটি বেসরকারি রোগপরীক্ষা কেন্দ্রে কাজ করেন। ১৪ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত শামিমার ছোটবেলা থেকেই একটি পা নেই। কৃত্রিম পা-ই ভরসা। এভাবেই স্কুটারে চেপে করোনাকালে চষে বেড়িয়েছেন কলকাতা। বাড়তি দু’টি চাকা লাগানো স্কুটারে চেপেই দিনে ৩০-৪০ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ২৯ এপ্রিল ধুম জ্বর আসে শামিমার। ৫ মে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভর্তি করা হয় আইডিতে। তারপর লড়াই করে হাসপাতাল থেকে ফিরেও এসেছেন তিনি। অন্যদিকে, দৈনিক করোনা সংক্রমণে সামান্য উত্থান-পতন অব্যাহত ছিল মঙ্গলবারও। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু যথাক্রমে ৮৬৩ ও ১৭। সোমবারের মতো এদিনও হাওড়ায় নতুন করে কেউ মারা যাননি। সেখানে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা এবং হুগলিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন যথাক্রমে মাত্র ১, ২, ৩ এবং ১ জন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #covid-19, #health building

আরো দেখুন