বিজেপির জেলা কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত প্রাক্তন মন্ত্রী দেবশ্রী
বিধানসভা নির্বাচনের পর মঙ্গলবার বিজেপির উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলা কমিটির প্রথম কার্যকারিণী বৈঠক হল। এদিন চাকুলিয়ার কানকির একটি পাবলিক হলে বৈঠকটি হয়। তবে এই বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্ব উপস্থিত থাকলেও রায়গঞ্জের সাংসদ তথা সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী (Debasree Chaudhuri), প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি, জেলার দুই বিধায়ক সহ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা গরহাজির ছিলেন। একসঙ্গে এতজনের অনুপস্থিতি নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, দল রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে না পারায় একাংশ নেতা-কর্মীরা হতাশ। এবার জেলা কমিটির বৈঠকেও সাংসদ সহ একাংশের অনুপস্থিতি হতাশা আরও বাড়িয়ে দিল। বিজেপি অবশ্য জানিয়েছে, এদিন সম্পূর্ণ সাংগঠনিক আলোচনা ছিল। বিভিন্ন কারণবশত কয়েকজন উপস্থিত হতে পারেননি। এখানে হতাশার কোনও ব্যাপার নেই। বৈঠকে রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, উত্তরবঙ্গের কোঅর্ডিনেটর শ্যামচাঁদ ঘোষ, জেলা পর্যবেক্ষক শিবেন্দু শেখর রায়, জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার উপস্থিত ছিলেন।
বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, জেলার পদাধিকারী, মণ্ডল সভাপতি, মোর্চা পদাধিকারী এবং যাঁরা জনপ্রতিনিধি আছেন, তাঁদের সকলকেই ডাকা হয়েছিল। যাঁরা সাংগঠনিক পদে আছেন, তাঁদের বেশিরভাগই এসেছেন। কয়েকজন আসতে পারেননি। কারণ, করোনার জেরে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নেই। দেবশ্রী চৌধুরী অসুস্থতার জন্য কলকাতায় আছেন। বালুরঘাট ও দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ যথাক্রমে সুকান্ত মজুমদার ও রাজু বিস্তারও আসার কথা ছিল। কিন্তু তাঁদের নিজ এলাকায় কর্মসূচি থাকায় আসতে পারেননি। দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, আমি গতকাল দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরেছি। এখানে কাজ আছে ও পরশু একটা কর্মসূচি আছে। আবার দিল্লিতে যেতে হবে। সামনের মাসে জেলায় ফিরব।
বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারিনি। দলের জেলা সম্পাদক সুবোধ সরকার বলেন, আমার বাড়িতে বিশেষ প্রয়োজন থাকায় বৈঠকে যাইনি। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা, দেবশ্রী চৌধুরী নিজের সাংসদ এলাকায় কম সময় দেন বলে বিরোধীরা বারবার অভিযোগ তুলেছে। দিল্লি থেকে কলকাতা আবার কলকাতা থেকে দিল্লিতে। কিন্তু রায়গঞ্জে তিনি তেমন আসেন না। দুই বছর তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। ফলে ব্যস্ততাও বেশি ছিল। তাই সবসময় রায়গঞ্জে ছুটে আসা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন তিনি আর মন্ত্রী নন। সম্প্রতি মোদির মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এরপরেও তিনি কলকাতায় আছেন, অথচ জেলার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে হাজির হননি। এতে দলের একাংশ নেতা-কর্মী হতাশ।