দেশ বিভাগে ফিরে যান

ফের করোনা আক্রান্ত দেশের প্রথম কোভিড রোগী

July 14, 2021 | 2 min read

ফের সংক্রমণের শিকার হলেন দেশের প্রথম করোনা (Covid19) আক্রান্ত। সম্প্রতি পড়াশুনোর কাজে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল কেরলের ত্রিশূরের ওই মহিলার। সেই কারণেই নিয়মমাফিক করোনা টেস্ট করিয়েছিলেন। তাতেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে তাঁর কোনও উপসর্গ নেই। টিকার প্রথম ডোজও নিয়ে ফেলেছেন তিনি।

ত্রিশূরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ কেজে রিনা বলেন, ওই মহিলা ফের করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু, আরটিপিসিআর পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। তিনি উপসর্গহীন সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আপাতত বাড়িতেই রয়েছেন। পরিবারের অন্য কোনও সদস্য আক্রান্ত হননি। পরিবার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর কোনও উপসর্গই ছিল না। দিল্লি যাওয়ার আগে নিয়মমাফিক পরীক্ষা করাতে গিয়েই বিষয়টি ধরা পড়ে।

ত্রিশূরের ওই মহিলা চীনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তারি নিয়ে পড়াশুনো করতেন। সেমেস্টারের ফাঁকে ২০২০ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে দেশে ফিরে আসেন। কয়েকদিন পরেই ৩০ জানুয়ারি তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ত্রিশূরের ওই মহিলাই দেশের প্রথম করোনা আক্রান্ত বা ‘পেশেন্ট জিরো’। ত্রিশূর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রায় তিন সপ্তাহ চিকিত্সাধীন ছিলেন। ২০ ফেব্রুয়ারি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। চীন ট্রাভেল ব্যান না তোলায় তারপর থেকে দেশেই রয়েছেন তিনি। মহিলার দুই বন্ধু একইসঙ্গে উহান থেকে ফিরেছিলেন। তাঁরাও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ফের আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। তবে দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হলেও করোনার প্রকোপ অনেকটাই কম থাকে। তেমন কোনও উপসর্গও থাকছে না। আর ভ্যাকসিন নেওয়ায় বড় বিপদের আশঙ্কাও কম। গত বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে সংক্রমণ নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৪.৫ শতাংশ আক্রান্ত ফের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। পাশাপাশি, এবছর ইনস্টিটিউট অব জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজির সমীক্ষাতেও উল্লেখযোগ্য তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষকরা বলছেন, এপ্রিল মাসে দিল্লিতে আছড়ে পড়েছিল সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। তাতে ১০ শতাংশের বেশি মানুষ পুনরায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid19, #Covid 19 India

আরো দেখুন