সেপ্টেম্বর থেকে ভারতে স্পুটনিক ভি তৈরি করবে সিরাম ইনস্টিটিউট
মাস দুয়েক আগে মে মাসে জরুরি ভিত্তিতে রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন (Russian Corona Vaccine) স্পুটনিক ভি (Sputnik V) ভারতে ব্যবহারের ছাড়পত্র পায়। জুলাই মাস থেকে তা ভারতে উৎপাদনের কথা ছিল। নানা কারণে তা হয়ে ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত সেপ্টম্বর মাস থেকে ভারতে স্পুটনিক ভি উৎপাদন হবে বলে জানাল রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (RDIF)। সেপ্টেম্বর মাস থেকে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute) এই টিকা তৈরি করবে। আরডিআইএফ জানিয়েছে, ভারতে বছরে ৩০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
আরডিআইএফ-এর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা বলেন, ‘স্পুটনিক তৈরিতে আরডিআইএফ-এর অংশীদার হওয়া খুবই আনন্দের। আগামী কয়েক মাসে বিপুল পরিমাণ টিকা তৈরি করা হবে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে উৎপাদন শুরু হবে।’ করোনা ভাইরাসের অনিশ্চিত চরিত্রের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, আগামী দিনে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক টিকা উৎপাদন সংস্থার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের যোগ আরও বাড়াতে হবে। অন্যদিকে, রাশিয়ার পক্ষে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কৌশলগত বিনিময় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই সিরামকে ‘সেল ও ভেক্টরের’ নমুনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ায় স্পুটনিক ভি তৈরি করছে গামালিয়া সেন্টার। তারাই প্রযুক্তিগত তথ্য বিনিময় চালাচ্ছে সিরামের সঙ্গে। তাতে অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া। আরডিআইএফ-এর সিইও কিরিল দিমিত্রিয়েভ বলেন, কৌশলগত যৌথ অংশীদারিত্বের ফলে ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়বে।
ভারতে ভ্যাকসিন জোগান নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে সরকার। তা সত্ত্বেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার টার্গেট নিয়েছে কেন্দ্র। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কমিটির প্রধান ডাঃ এন কে অরোরা বলেন, যে ভাবেই হোক ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই লক্ষ্য পূরণ করতে বদ্ধপরিকর সরকার। ফলে ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়ানো যে একান্ত প্রয়োজন সে কথা প্রায় সকলেই স্বীকার করছেন। এদিকে সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, জুলাই মাসে টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় সাফল্য পেয়েছে সংস্থা। তাদের দাবি, প্রতিশ্রুতি মতো এক কোটি থেকে এক কোটি ১০ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট।