কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

ভবানীপুরের অনেক ওয়ার্ডই কোভিডশূন্য, উপনির্বাচন প্রসঙ্গে মমতা

July 15, 2021 | 2 min read

ভবানীপুর-সহ (Bhawanipore) রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল যখন দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে আর্জি জানাচ্ছে, প্রায় তার কাছাকাছি সময়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়ে দিলেন, ভবানীপুরের অনেক ওয়ার্ডই এখন কোভিডমুক্ত। মমতার কথায়, ‘‘আমি ভবানীপুর নিয়ে কলকাতা পুরসভার একটা রিপোর্ট দেকছিলাম। অনেক ওয়ার্ডই কোভিডশূন্য।’

মমতার কথা থেকে স্পষ্ট, তিনি মনে করছেন ভবানীপুরে উপনির্বাচন করানো সম্ভব। বস্তুত, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, সাতটি আসনেই উপনির্বাচন করানো উচিত। এর আগে জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্যসভা ভোট করানো নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মতামত চেয়েছিল। তখন রাজ্য সরকারের তরফে তাদের জানানো হয়, রাজ্যসভা তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গে এখন সাতটি বিধানসভার উপনির্বাচনও করানো সম্ভব।

সেই সূত্রেই বৃহস্পতিবার মমতা বলেন, ‘‘আমরা ওদের বলেছিলাম, রাজ্যসভা তো বটেই। বিধানসভা ভোটের জন্যও আমরা তৈরি। উপনির্বাচন তো হবে একেকটা বিচ্ছিন্ন এলাকায়। তা ছাড়া গোটা রাজ্যেই কোভিড এখন অনেকটা কমে এসেছে।’’ মমতার আরও বক্তব্য, ‘‘সংবিধান অনুযায়ী, আইন অনুযায়ী ভোটের ফল প্রকাশের ছ’মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করাতে হবে। ফলে আমরা বেআইনি বা অসাংবিধানিক কিছু চাইছি না। কিন্তু বিজেপি জানে, ওরা প্রতিটায় হারবে! তাই ওরা ভোট চাইছে না।’’

প্রসঙ্গত, মমতাকে আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। তিনি লড়বেন দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর পুরোন কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে। কিন্তু তৃণমূলের একাংশের আশঙ্কা, কৌশলগত ভাবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ৫ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যে উপনির্বাচন করাতে চাইছে না। সে ক্ষেত্রে মমতা এবং তাঁর সরকারকে খানিক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। শাসক শিবিরের নেতাদের আরও উদ্বেগ যে, রাজ্যে করোনা (Covid 19) পরিস্থিতির ‘অবনতি’ দেখিয়ে কমিশন ভোট না-ও করাতে পারে। ফলে নবান্ন বারংবারই করোনা পরিস্থিতির ‘উন্নতি’ হয়েছে বলে দাবি করছে। পরিসংখ্যানও তেমনই বলছে।

তবে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি-র নেতারা বলছেন, আগে রাজ্যে পুরসভার ভোট করানো হোক। তার পরে বিধানসভা উপনির্বাচন করা যাবে। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘রাজ্যে প্রচুর পুরসভায় ভোট বাকি। দীর্ঘদিন সেখানে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। তার মধ্যে কলকাতা পুরসভাও রয়েছে। আগে ওই সমস্ত পুরসভায় ভোট করাক রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি বুঝে তার পরে না হয় উপনির্বাচন করানো যাবে। প্রসঙ্গত, মমতা প্রকাশ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে রাজ্য উপনির্বাচন সময়মতো করানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু জুলাই মাসের মাঝামাঝি হয়ে যাওয়ার পরেও জাতীয় নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করছে না। সেই প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার তৃণমূলের প্রতিনিধিদল দিল্লিতে নির্বাচন সদনে গিয়ে রাজ্যে বিধানসভা উপনির্বাচন করানোর দাবি জানিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Chief Minister, #Mamata Banerjee, #covid19, #Nabanna, #By Election

আরো দেখুন