স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও রাষ্ট্রদ্রোহ আইন কেন? কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
এবার রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের (Sedition Law) বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও এই ব্রিটিশ আমলের আইনের প্রয়োজনীয়তা কী? কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আজ শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনটি ঔপনিবেশিক। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও কি দেশে এই আইন রাখা প্রয়োজন? কেন্দ্রীয় সরকার পুরনো অনেক আইন বাতিল করে দিচ্ছে। তাহলে এই আইনটি কেন বাতিল করা হচ্ছে না?
ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ এ ধারা অনুযায়ী, রাষ্ট্রদ্রোহ গুরুতর অপরাধ। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আইনটি খতিয়ে দেখছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন এমন একটি করাত যা কাঠের মিস্ত্রির হাতে তুলে দেওয়া হয় কাঠ টুকরো করে কাটার জন্য। কিন্তু সে গোটা জঙ্গলই কেটে ফেলছে। এই আইনের ফল এমনই হয়েছে। এই আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার হয়েছে।
যদি কোনও পুলিশ আধিকারিক গ্রামের কোনও ব্যক্তিকে আইনের জালে ফাঁসিয়ে দিতে চান, তাহলে তিনি ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ এ ধারা কাজে লাগাতে পারেন। এর ফলে মানুষ সন্ত্রস্ত। এই আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখা হবে। একজন প্রাক্তন সেনা অফিসারের আবেদনে বলা হয়েছিল, এই আইনের ফলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বাক স্বাধীনতার উপর অকারণে বাধা তৈরি করে এই আইন।