কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

ভবানীপুর, খড়দহ সহ সাত কেন্দ্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় শূন্য

July 16, 2021 | 2 min read

গত বিধানসভা ভোটের সময় মুর্শিদাবাদে দু’জন প্রার্থীর মৃত্যুতে জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে নির্বাচন স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। আর খড়দহে কাজল সিনহা ও গোসাবাতে জয়ন্ত নস্করের মৃত্যুতে সেখানে বিধায়ক-শূন্য হয়ে পড়ে। ভবানীপুর, শান্তিপুর এবং দিনহাটাতে বিধায়ক পদত্যাগ করার ফলে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। ছ’মাসের মধ্যে ভবানীপুর সহ ওই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং মুর্শিদাবাদের দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রের সাধারণ নির্বাচন করা দরকার। কিন্তু করোনার কারণে সেই নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি ভারতের নির্বাচন কমিশন। অথচ দেখা যাচ্ছে, ওই সাত বিধানসভা কেন্দ্রেই বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় শূন্য। গত কয়েকদিন ধরেই করোনা গ্রাফ উল্লেখযোগ্যভাবে নিম্নমুখী। তাই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে নির্বাচন ঘোষণার দাবি জোরালো হচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।

কলকাতা পুরসভা ও জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনু্যায়ী, গত বুধবার ভবানীপুর (Bhabanipur) কেন্দ্রে করোনা রোগীর সংখ্যা মাত্র তিন। তা রয়েছে ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে। ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪, ৭৭ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ভবানীপুর কেন্দ্র। যার দশদিনের হিসেব খতিয়ে দেখা যাচ্ছে, করোনা রোগীর সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৪ জুলাই ছিল আটজন রোগী। ৫ জুলাই তা কমে দাঁড়ায় মাত্র একজনে। ৬ জুলাই সেই সংখ্যা বেড়ে হয় দুই। ৭ জুলাই আবার একে নেমে আসে। ৮ জুলাই বেড়ে হয় তিন। আবার ৯ জুলাই দাঁড়ায় এক। ১০ জুলাই বেড়ে হয় পাঁচ। ১১ জুলাই গত রবিবার একজনও রোগী ছিল না গোটা ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ডে। ১২ জুলাই মাত্র একজন। ১৩ জুলাইও একই সংখ্যা, মাত্র একজন। ১৪ জুলাই তিনজন। রাজ্যের সবচেয়ে নজরকাড়া এই বিধানসভা কেন্দ্রে গত দশদিনে করোনা রোগীর সংখ্যা দুই সংখ্যায় পৌঁছয়নি।

একইরকম চিত্র রাজ্যের ভোটের জন্য পড়ে থাকা বাকি ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রের। অন্য একটি ‘হেভিওয়েট’ কেন্দ্র খড়দহেও করোনা রোগীর সংখ্যা কমে গিয়েছে। সেখানে আপাতত করোনা রোগীর সংখ্যা দুই। আবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে ১৪ জুলাইয়ের হিসেব অনুযায়ী, কোনও করোনা রোগীর সন্ধান নেই। একইরকম অবস্থা দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবাতেও। সেখানে এই মুহূর্তে কোনও করোনা রোগী নেই। তবে কোচবিহারের দিনহাটা কেন্দ্রে করোনা (Covid19) রোগী এখনও পাঁচজন। নদীয়ার শান্তিপুরে করোনা রোগীর সংখ্যা দুই। এইসব এলাকায় আরও সর্তকতা ও নজরদারি শুরু করে জেলা প্রশাসন। যেখানে করোনা রোগীর সংখ্যা একটু বেশি, সেখানে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন তৈরি করে কড়া ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। গোটা রাজ্যে এখন রোগীর সংখ্যা ৮০০-৯০০’র মধ্যে রয়েছে। পজিটিভিটি রেট মাত্র ১.৫ শতাংশ। আমি ভবানীপুর কেন্দ্র নিয়ে বলতে পারি, সেখানে ক’দিন ধরে কোনও রোগীর সন্ধান নেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Khardah, #Bhabanipur

আরো দেখুন