যীশু-অনির্বাণ নন, মহাপ্রভু চরিত্রে পরমকে বাছলেন সৃজিত
কয়েক বছর আগে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji) চৈতন্যদেবের জীবনের প্রেক্ষাপটে একটি ছবি তৈরির ঘোষণা করেছিলেন। যিশু সেনগুপ্ত ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়েই সেই ঘোষণা হয়েছিল। এবার ছবির প্রযোজক রানা সরকার ও সৃজিত এই ছবি নিয়ে এগনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই সঙ্গে টলিপাড়ায় একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে, এই ছবি থেকে যিশু সরে দাঁড়িয়েছেন। তখন আলোচনা শুরু হয় মহাপ্রভুর ভূমিকায় কাকে দেখা যাবে? যাবতীয় জল্পনার অবসান। ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ শীর্ষক এই ছবিতে শ্রীচৈতন্যদেবের চরিত্রে অভিনয় করছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee)।
এ প্রসঙ্গে পরম বলছিলেন, ‘২০১৯ সালে সৃজিত আমাকে চরিত্রটার কথা বলে। তখন আমিই অবাক হয়ে ওকে বলেছিলাম যে, যিশু কেন নয়? সেই সময় সৃজিত বলেছিলেন, যিশুকে আমি অন্য চরিত্রে ভেবেছি। এইরকম চরিত্রে সুযোগ পাওয়াটা সত্যিই সম্মানজনক। চেষ্টা করব, নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে।’ এক সময় ‘মহাপ্রভু’ ধারাবাহিকে চৈতন্যদেবের ভূমিকায় অভিনয় করেই যিশুর উত্থান। তাঁকে বাদ দিয়ে কেন পরমকে বাছা হল এই চরিত্রের জন্য? এই প্রসঙ্গে প্রযোজকের বক্তব্য, ‘যিশুকে দর্শক আগেই চৈতন্যদেবের চরিত্রে দেখেছেন বলেই ওঁকে আর এবার একই চরিত্রে না রেখে অন্য একটা চরিত্রে ভাবা হয়েছিল। এখন কাজের ব্যস্ততা রয়েছে, তাই যিশু জানিয়েছেন, উনি এই ছবিতে সময় দিতে পারবেন না।’
সৃজিতের এই ছবিতে চৈতন্যদেবের পাশাপাশি থাকছেন নটী বিনোদিনীও। মহাপ্রভুর জীবনকাল ১৪৮৬-১৫৩৪ খ্রিস্টাব্দ। আর নটী বিনোদিনীর জন্ম ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে। এ ব্যাপারে শুক্রবার মুম্বই থেকে সৃজিত ফোনে বললেন, ‘এটুকু বলতে পারি যে, এটা যতটা চৈতন্যদেবের বায়োপিক, ঠিক ততটাই নটী বিনোদিনীর।’ কিন্তু এই দুই ভিন্ন সময়কালকে কীভাবে সংযুক্ত করছেন তিনি? ‘সেটা না হয় ছবির জন্য তোলা থাক। আসলে তথাকথিত বায়োপিকের মতো গল্পটা বলতে চাইছি না,’ বক্তব্য পরিচালকের। নেতাজির পর চৈতন্যদেবকে নিয়ে কাজ সাহসী পদক্ষেপ। কী ভাবছেন তিনি? ‘সাহসী পদক্ষেপ কি না জানি না। তবে জাস্টিস করার চেষ্টা করব,’ সাফ জবাব তাঁর। পিরিয়ড ড্রামা। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে চরিত্রের সমাহার। সবটা এখনও চূড়ান্ত না হলেও জানা গেল লক্ষ্মীপ্রিয়ার চরিত্রে অভিনয় করবেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। অনির্বাণকে দেখা যাবে বর্তমান সময়ের এক সুপারস্টারের চরিত্রে। প্রিয়াঙ্কা বলছিলেন, ‘সৃজিতদার সঙ্গে বহুদিন পর আবার কাজ করা সুযোগ পেলাম। তার উপরে এতটা চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। এখনও প্রস্তুতির জন্য হাতে কয়েক মাস সময় রয়েছে। আলাদা করে বিষয়টা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করব।’ আগামী বছর ছবির শ্যুটিং শুরু হবে। কলকাতা ছাড়াও ওড়িশা ও নবদ্বীপে ছবির অনেকটাই শ্যুটিং হওয়ার কথা।