বিধান পরিষদ গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে তদ্বির বিজেডির, আশা বাংলার?
সংসদের বাদল অধিবেশনে ত্বরান্বিত করা ওকে ওড়িশার বিধান পরিষদ (Odisha Vidhan Parishad) গঠনের প্রক্রিয়া। এমনটাই দাবি জানিয়েছেন লোকসভায় বিজু জনতা দলের (BJD) দলনেতা। সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে আজকে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর ডাকে সর্বদল বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। সেই বৈঠকেই এই দাবি তিনি করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাজ্যে বিধান পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য মন্ত্রিসভা। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া এখন কেন্দ্রের আওতাধীন। বিধান পরিষদ গঠনে বিলম্বের কারণেই এই ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছে বিজেডি। আর ঠিক এই কারণেই আশার আলো দেখছে বাংলা। গত ৬ই জুলাই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হয়েছে রাজ্যে বিধান পরিষদ (State Legislative Council) গঠনের প্রস্তাব।
তবে বিধানসভায় পাশ হয়ে গেলেও, বিধান পরিষদ গঠনের জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সিলমোহর দরকার। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক ঘুরে লোকসভা এবং রাজ্যসভা, সংসদের দু’কক্ষেই প্রস্তাবটি পাশ করাতে হবে। তার পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর লাগবে। তবেই এ রাজ্যে রাজ্যে বিধান পরিষদ চালু হবে।
তাই, বিজেডির দাবির ওপর ভর করে বাংলাও বিধান পরিষদ গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য কেন্দ্রের ওপর চাপসৃষ্টি করতে পারবে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সংসদের মতো রাজ্যের আইনসভাও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষটি বিধান পরিষদ এবং নিম্নকক্ষটি বিধানসভা হিসেবে পরিগণিত হয়। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং জম্মু-কাশ্মীরে এই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে। ১৯৫২ সালের ৫ জুন ৫১ জন সদস্যকে নিয়ে বাংলাতেও বিধান পরিষদ গঠিত হয়। কিন্তু ১৯৬৯ সালের ২১ মার্চ তার অবলুপ্তি ঘটে। সেই থেকে শুধুমাত্র বিধানসভার মাধ্যমেই শাসনকার্য পরিচালিত হয়ে আসছে রাজ্যে।