নোয়াপাড়ায় বিজেপি–কংগ্রেস–সিপিআইএম ছেড়ে ৬০০ নেতা-কর্মীর তৃণমূলে যোগ
একুশের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির (BJP) ঘরে ভাঙন শুরু হয়ে যায়। রোজই এখন দেখা যাচ্ছে বিজেপি ছেড়ে শয়ে শয়ে কর্মী–সমর্থক থেকে নেতারা তৃণমূল (Trinamool) কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। আর তাতে জেলায় জেলায় সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। এমনকী ভাঙন দেখা দিচ্ছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) জেলায়। তবে এবার বিজেপি–কংগ্রেস–সিপিআইএম থেকে নোয়াপাড়া কেন্দ্রের গারুলিয়ার ছয় শতাধিক কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন।
তার আগেই গাইঘাটা এবং নন্দীগ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। এবার রবিবার গারুলিয়ার মাদার ডায়েরি মোড়ে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম (Somnath Shyam) এবং ব্যারাকপুরের পুর প্রশাসক উত্তম দাসের (Uttam Das) হাত ধরে বিভিন্ন দল থেকে আসা রাজনৈতিক কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। সুতরাং গারুলিয়া্য বিজেপির সংগঠন বেশ দুর্বল হযে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
তবে এদিনের যোগদান পর্ব শুরু হওয়ার আগেই নোয়াপাড়ার (Noapara) বিধায়কা মঞ্জু বসু মঞ্চ ছেড়ে চলে যান। মঞ্জু দেবীর মঞ্চ ছেড়ে চলে যাবার কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, যোগদান পর্বের ক্ষেত্রে তার কাছে তালিকা ছিল তার সঙ্গে আজকের তালিকায় বিস্তর অমিল ছিল। এদিন উপস্থিত ছিলেন গারুলিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি পঙ্কজ দাস, রমেন দাস, গৌতম বসু–সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিনের যোগদান পর্বের বিষয়ে বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘বাছাই করে স্বচ্ছ ইমেজের কর্মীদের দলে নেওয়া হচ্ছে।’