দিল্লিতেও তৃণমূলের শহিদ স্মরণ, থাকবেন অন্য দলের নেতারাও
ভিড়ে ঠাসা সভার বদলে ভার্চুয়াল জমায়েত। করোনা সংক্রমণের আবহে একুশের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ভার্চুয়াল জমায়েত করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৮ বছরে পা রাখা একুশে জুলাই এবার রাজনীতি এবং আঙ্গিক, দুই দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ।
২১ শে জুলাইয়ে শহিদ দিবসের (Martyrs’ Day) সাথেই এবার ওইদিন সংসদের বাদল অধিবেশন পড়ায় দিল্লিতে থাকবেন অনেক সাংসদ। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২১ জুলাইয়ের ভাষণ দিল্লির অনেক জায়গাতেই শোনানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব থেকে বড় সম্প্রচার অনুষ্ঠানটি হবে দিল্লির সাউথ এভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ে।
আজ একটি সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লিতে ২১ শে জুলাইয়ে শহিদ দিবস পালনের পরিকল্পনা জানিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। সাংসদ জানান ওই দিন দিল্লিতে বিভিন্ন জায়গায় জায়েন্ট স্ক্রিন লাগানো হবে। দিল্লিতে উপস্থিত সাংসদরা শহিদ স্মরণে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় উপস্থিত হবেন। বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন নেতাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ওইদিন। অনেকে উপস্থিত থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন বলে জানান সাংসদ।
তবে শুধু দিল্লিতেই নয়, তৃণমূলের তরফে এবার ২১ জুলাইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনানোর জন্য অসম, ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি ছাড়াও গুজরাত, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ুতেও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ২০২৪-এর লক্ষ্যে বিশেষ কোনও বার্তা দিতে পারেন বলেই মনে করছেন অনেকে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয় হাসিল করে তৃতীয় বার সরকার গঠনের পরে প্রথম একুশে জুলাই। কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি রাজ্যেও থাবা বসাতে মরিয়া ছিল। তাদের পরাস্ত করেছে জোড়াফুল শিবির। এবার একুশের মঞ্চ থেকে কী দিশা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।