১৬ দিনের শিশুকে গ্রিন করিডোর করে কলকাতা পাঠালেন বীরবাহা
হার্টের সমস্যায় ভোগা ১৬দিনের শিশুকে গ্রিন করিডোর (green corridor) করে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ঝাড়গ্রাম থেকে পাঠানো হল কলকাতায়। ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা বনপ্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda) ও ঝাড়গাম জেলা পুলিসের সহযোগিতায় ওই শিশুকে দ্রুততার সঙ্গে কলকাতায় (Kolkata) নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে ওই শিশু হাওড়ার নারায়ণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিপদের সময় মন্ত্রী পাশে দাঁড়ানোয় ওই পরিবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ঝাড়গ্রাম শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সন্দীপ সেনগুপ্তের ১৬দিনের শিশুপুত্র রণদীপের জন্মের পরই হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে। গত শনিবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। চিকিৎসা করানোর জন্য তাকে নিয়ে পরিবারের লোকজন কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। লোধাশুলির কাছে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সারা ঝাড়গ্রামবাসী শিশুটির চিকিৎসার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। সন্দীপবাবুর দাদা শিশুটিকে ভর্তি জন্য মন্ত্রী বীরবাহার কাছে শংসাপত্র আনতে গিয়েছিলেন। তিনি পুরো বিষয়টি বীরবাহাকে খুলে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রী ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষকে ফোন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ গ্রিন করিডোর করে শিশুটিকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতাল থেকে কলকাতার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবে পাশে দাঁড়ানোয় ঝাড়গ্রামের মানুষ মন্ত্রীকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
তবে মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর ঘটনা বীরবাহার এই প্রথম নয়। গত ১ জুলাই লালগড়ের সিজুয়া গ্রামের ক্যান্সার আক্রান্ত দশম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে নিজের খরচে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা প্রতীক মৈত্র বলেন, শহরের এক মহিলার পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তারপর সকল ঝাড়গ্রামবাসী শিশুটির পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। তবে আমাদের বিধায়ক যেভাবে গ্রিন করিডোরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, তাঁর প্রশংসা না করলেই নয়। সঠিক জনকেই আমরা নির্বাচিত করেছি। তিনি সব সময় আমাদের বিপদে আপদে পাশে থাকেন।
মন্ত্রী বলেন, ভর্তির জন্য শিশুটির পরিবারের লোকজন আমার কাছে শংসাপত্র নিতে এসেছিলেন। পুরো ঘটনার কথা শুনে বিষয়টি জেলার পুলিস সুপারকে জানাই। ততক্ষণে ওই পরিবার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে। শিশুটিকে গ্রিন করিডোর করে যথা সময়ে হাসপাতালে পৌঁছনো গিয়েছে। শিশুটির পরিবারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে। তাঁদের বলেছি, যে কোনওধরনের সমস্যা হলে আমাকে ফোন করতে।
শিশুটির বাবা সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, বহু মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। বিধায়ক ও পুলিস প্রশাসনের সহযোগিতায় গ্রিন করিডোর করে ছেলেকে কলকাতায় এনেছি।
জেলার পুলিস সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ওই শিশুকে কলকাতায় পাঠানোর খবর পাওয়া মাত্র ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমরা হাওড়া পর্যন্ত পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করি। যেন রাস্তায় কোনও অসুবিধা না হয়। যথাসময়ে হাসপাতালে তাকে পৌঁছনো গিয়েছে।