শহিদ দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট মমতা-অভিষেকের
করোনায় ভার্চুয়ালেই সারতে হচ্ছে শহিদ স্মরণ। তার ফলে শহরের সেই চেনা ভিড় দেখা যাবে না এ বছরও। তা সত্ত্বেও কোথাও কোনও খামতি রাখতে চান না তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বরং শহিদ দিবসকে এ বার জাতীয় স্তরে নিয়ে যেতে প্রস্তুত তিনি। তার জন্য একাধিক রাজ্যে তাঁর বক্তৃতা শোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অতিমারিতে এই নিয়ে পর পর দু’বছর ভার্চুয়াল মাধ্যমে শহিদ দিবস পালিত হচ্ছে। তাতে সকলকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা। বুধবার সকালে টুইটারে তিনি লেখেন, ‘১৯৯৩ সালে যে ১৩ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই। আজ দুপুর ২টোয় ভার্চুয়াল সভায় তাঁদের শ্রদ্ধা জানাব। সব ভাই-বোনেদের অনুরোধ, আজ দুপুর ২টোয় শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিন। অমানবিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।’
তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee) ১৯৯৩ সালের সেই দিনটিকে স্মরণ করেছেন। টুইটারে অভিষেক লেখেন, ‘১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের সেই যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতি আজও আমাদের স্মৃতিতে টাটকা। ১৩ জন নিরীহ মানুষের উপর তৎকালীন সরকার যে নির্মম অত্যাচার চালায়, তা কখনও ভুলতে পারব না আমরা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে রুখে দাঁড়িয়ে যাঁরা আত্মবলিদান দিয়েছিলেন, তাঁদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। জয় হিন্দ। জয় বাংলা।’
করোনার আগে প্রতি বছর শহিদ দিবসে ধর্মতলায় বিশাল সমাবেশের আয়োজন হতো। এ বারও মঞ্চ সাজানো হয়েছে বটে। তবে তা ভার্চুয়াল সভার জন্য। জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছে সেখানে,যাতে শহরবাসী তাতে মমতার ভাষণ শুনতে পান। তবে শুধু কলকাতাই নয়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, (Uttar Pradesh) গুজরাত এবং তামিলনাড়ুতেও ভার্চুয়ালে মমতার ভাষণ শোনানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। অসম এবং ত্রিপুরাতেও মমতার ভাষণ শোনা যাবে।
এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাতে মমতার ভাষণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ এই দুই রাজ্যের সঙ্গেই নিবিড় যোগ নরেন্দ্র মোদীর। উত্তরপ্রদেশে আবার সামনেই নির্বাচন। সেখানে মোদীর কেন্দ্র বারাণসীতেই মমতার ভাষণ শোনানোর ব্যবস্থা কার হয়েছে। এ ছাড়াও, বরেলী, আজমগড়, মির্জাপুরেও মমতার ভাষণ শোনা যাবে।