পেগাসাসের মাধ্যমে নজরদারি রুখতে ফোনে প্লাস্টার লাগিয়েছেন মমতা
ফোনের ক্যামেরায় স্টিকিং প্লাস্টার লাগিয়ে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু কেন? তার জবাব অবশ্য নিজেই দিলেন মমতা। বললেন, কেন্দ্রের ফোনে আড়ি পাতার হাত থেকে বাঁচতেই এই পদক্ষেপ।
২১ জুলাইয়ের (21 July) মঞ্চে পেগাসাস (Pegasus) বিতর্কে মুখ খুললেন মমতা। ভাষণ শুরু করার পরেই নিজের ফোন হাতে তুলে সবাইকে দেখান মমতা। বলেন, ‘‘আমি কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারি না। কারণ ফোন ট্যাপ হচ্ছে। আমি তো আমার ফোনের ক্যামেরায় স্টিকিং প্লাস্টার লাগিয়ে দিয়েছি।’’ রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে বিচারপতি ও সমাজের অন্যান্য স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফোনে আড়ি পাতার বিষয়ে মমতা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেন।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে একের পর এক সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই সময় নাগরাকাটার জনসভায় দাঁড়িয়ে আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী জন বার্লা ও কোচবিহারের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে আক্রমণ করে মমতা বলেছিলেন, ‘‘সিবিআইয়ের রিপোর্টে সব তথ্য থাকা সত্ত্বেও বড় বড় কথা বলেন মোদী। গণতান্ত্রিকভাবে লিউকোপ্লাস্টার লাগিয়ে ওঁর কথা বন্ধ করে দেব।’’ এ বার নিজের ফোনের ক্যামেরা স্টিকিং প্লাস্টার দিয়ে ঢেকে দিলেন মমতা।
ফোন আড়ি পাতা বিতর্কে যখন গোটা দেশ তোলপাড় হচ্ছে তখন ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতার বক্তৃতার বড় অংশ জুড়েই রইল সেই প্রসঙ্গ। আর তারই মধ্যে নতুন স্লোগান শোনালেন মমতা। বললেন, ‘‘পেগোসাস- ফেরোসাস, নরেন্দ্র মোদীর নাভিশ্বাস।’’
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘‘গরিব মানুষকে টাকা দেওয়ার বদলে আড়ি পাতায় টাকা খরচ করা হচ্ছে।’’ মমতা এমনটাও বলেন যে, ‘‘কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। মন্ত্রী, আমলা, বিরোধীদের নেতা, বিচারপতিদের ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘নির্বাচন, সংবাদমাধ্যম এবং বিচার বিভাগ, গণতন্ত্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোই ভেঙে দিয়েছে। গণতন্ত্রের বদলে দেশ জুড়ে স্পাইগিরি চালাচ্ছে বিজেপি।’’